নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে তাইজুল ইসলাম (৭) নামের এক শিশুকে হত্যা ও লাশ গুম করার দায়ে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামল এই আদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত সুজন (২৭) কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ থানার সাতারপুর এলাকার আব্দুল হকের ছেলে। তিনি ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে রূপগঞ্জ থানায় দায়ের করা হত্যা মামলার প্রধান ও একমাত্র আসামি। রায় ঘোষণার সময় তিনি পলাতক ছিলেন।
আদেশের সত্যতা নিশ্চিত করে আদালত পুলিশের পরিদর্শক আব্দুর রশিদ বলেন, ‘রূপগঞ্জের একটি হত্যা ও অপহরণ মামলায় সুজন নামের আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আসামিকে ধরতে রায় পরবর্তী গ্রেপ্তারি পরোয়ানা সংশ্লিষ্ট থানায় পাঠানো হবে।’
আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি রকিব উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘২০১৭ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি রূপগঞ্জের ভুলতা থেকে শিশু তাইজুল ইসলাম নিখোঁজ হয়। এই ঘটনায় প্রথমে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) দায়ের করে তার পরিবার। ৪ ফেব্রুয়ারি শিশুটির বড় ভাই মাজহারুল ইসলামকে ফোন করে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। প্রাথমিকভাবে তাঁকে ৫ হাজার টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পাঠিয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়।’
পুলিশ সেই নম্বরের সূত্র ধরে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। এর আগে তিনি ঘটনা গোপন করতে শিশুটিকে হত্যা করে গোলাকান্দাইলের একটি বিলে কচুরিপানার নিচে ফেলে রাখে। মামলার একমাত্র আসামিকে আজ মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।