নির্বাচনের দুই মাস বাকি থাকতেই মনোনয়ন ফি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে ই-কমার্স-সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সংগঠন ই-ক্যাবে। আগামী ১৮ জুন প্রথমবারের মতো সংগঠনটির কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু মনোনয়ন ফি অস্বাভাবিক বলে তা কমানোর দাবি জানিয়েছেন নির্বাচনে আগ্রহীরা।
নির্বাচন বোর্ড-ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনে মনোনয়ন ফি বাবদ সভাপতি পদে আড়াই লাখ টাকা, সহসভাপতি পদে দেড় লাখ, সাধারণ সম্পাদক ও অর্থ সম্পাদক পদে ৭৫ হাজার এবং পরিচালক পদের জন্য ৫০ হাজার টাকার অফেরতযোগ্য জামানত দিতে বলা হয়েছে। ই-কমার্স-সংশ্লিষ্ট অনেকেই এর সমালোচনা করছেন। তবে ই-ক্যাবের কয়েকজন সদস্য জানিয়েছেন, সংগঠনের পর্যাপ্ত ফান্ড না থাকায় বাধ্য হয়েই নির্বাচন খরচসহ আনুষঙ্গিক ব্যয় নির্বাহের জন্য উচ্চ হারে মনোনয়ন ফি ধার্য করতে হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সদস্য বলেন, অনেকেই সমালোচনা করছেন। কিন্তু বাস্তবতাটা কেউ জানেন না। এত বড় একটা সংগঠন অথচ এটার কোনো ফান্ড নেই। কর্মকর্তাদের বেতন দিতেই হিমশিম খেতে হয়। এরপর নির্বাচন আয়োজনেরও তো খরচ আছে।
অন্যদিকে মনোনয়ন ফি পুনর্বিবেচনার জন্য গতকাল শুক্রবার নির্বাচন বোর্ড চেয়ারম্যান আমিন হেলালীর কাছে আবেদন করেছেন ধানসিঁড়ি ডিজিটাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বর্তমান সভাপতি শমী কায়সার।
তফসিল অনুযায়ী, আগামী ১০ মে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ, ১১ মে শুরু হবে মনোনয়নপত্র বিক্রি। প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা যাবে ২৯ মে পর্যন্ত।