রাজধানীর উত্তরায় মদের বারের স্টাফদের হামলায় তিনজন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল শনিবার (১৫ জুন) রাত সাড়ে ১১টায় উত্তরার হাউস বিল্ডিংয়ের ‘সিটি অর্চাড রিক্রিয়েশন ক্লাব’ নামের একটি বারে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলায় আহতরা হলেন মেহেদী হাসান (২৬), এফ এম মাহফুজ উল্লাহ (২৩) ও এফ এম মাহবুব উল্লাহ (২৩)। আহত অবস্থায় তাঁদের উত্তরার কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় পুলিশ বারটি ম্যানেজার গোলাম সারোয়ার (৪৭), ওয়াহিদ হোসেন (৪৮), মো. ইমরান (২২), মো. রাকিব (২৮) ও মিনহাজ মোল্লাকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বি এম ফরমান আলী আজ রোববার সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ওসি বলেন, ‘সিটি অর্চাড বারে মারামারির ঘটনায় আমরা পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছি। বাকিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
হামলার বিষয়ে নুর হোসেন নামের প্রত্যক্ষদর্শী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঢাকা-১৮ আসনের এমপি মো. খসরু চৌধুরীর মালিকানাধীন নিপা গ্রুপের পরিচালক জুয়েল ভাই সিটি বারের পাশের একটি গ্যারেজে গাড়ি মেরামতের কাজ করাচ্ছিলেন। ওই সময় বারটি থেকে কিছু পোলাপান মদ্যপ অবস্থায় বেরিয়ে তাঁর সঙ্গে বাজে ব্যবহার করা শুরু করে। পরে পাশে থাকা নিপা গ্রুপের লোকজন সেটি দেখে ফেলে। পরে তারা বারের ভেতরে ঢুকে খারাপ ব্যবহার করার কারণ জানতে চাইলে সিকিউরিটি গার্ড, বাউন্সার, ওয়েটাররা মিলে হামলা চালায়। এতে আমাদের চার-পাঁচজন আহত হন। তাদের তিনজনকে কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
হাসপাতালটির জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত ডা. মো. শোভন আজকের পত্রিকাকে বলেন, আহত তিনজনের মধ্যে দুজনের মাথায় জখম ও হাতে আঘাত ছিল। দুজনের কয়েকটি সেলাই লেগেছে। আরেকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, গুরুতর আহত দুজনকে রেফার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় আহত মাহফুজ উল্লাহ ও মাহবুব উল্লাহর বাবা এ এফ এম মহিব উল্লাহ বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় আজ ভোরে পথ রোধ করে হত্যাচেষ্টার অপরাধে মামলা করেন। ওই মামলায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরও পাঁচ–ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় প্রধান আসামি হলেন বারটির ম্যানেজার গোলাম সারোয়ার।