কারাগারে থাকা যশোরের যুবদল নেতাকে ডান্ডাবেড়ি ও হাতকড়া পরিয়ে হাসপাতালে নেওয়ার বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে এনেছেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। গণমাধ্যমে প্রকাশিত এসংক্রান্ত প্রতিবেদন আজ বুধবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর বেঞ্চের নজরে আনা হয়।
সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী প্রকাশিত ওই প্রতিবেদন পড়ে সুয়োমোটো আদেশ চান।
এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে হাসপাতালে আনা হবে, স্বাধীন দেশে এগুলো কেন করা হবে?
হাইকোর্ট বলেন, এগুলো তো স্যাটেল হয়ে গেছে।
এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, আমাদের এটার সমাধান বের করতে হবে। আমরা কি দেশের থার্ড ক্লাস সিটিজেন?
হাইকোর্ট বলেন, ডান্ডাবেড়ি তো ঘৃণ্য অপরাধে পরানো হয়। আর এ বিষয়ে হাইকোর্টের তো একাধিক সিদ্ধান্ত রয়েছে। তবে আমরা সুয়োমোটো আদেশ দেব না। আপনারা চাইলে রিট করে আসেন।
পরে আদালত থেকে বের হয়ে বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, আমরা রিট ফাইল করব।
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্র সরাসরি তার নাগরিকদের ওপর নিপীড়ন চালাচ্ছে। কিছু কিছু কার্যক্রম দেখে মনে হচ্ছে, সারা দেশের বিএনপির নেতা-কর্মীরা গাজা উপত্যকার বাসিন্দা। গাজা উপত্যকায় যেভাবে ইসরায়েলি বাহিনী হামলা করছে, তেমনি আজকে যাঁরা বিএনপি করেন বা সরকারবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত, তাঁদের গাজা উপত্যকার নিরীহ নাগরিক হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। অনেককে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। অনেককে গ্রেপ্তার করতে না পেরে তাঁর স্বজনদের উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। দেশে একটি অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।