অর্থ লুটপাট ও ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ৩০ লাখ ডলার খরচ করার অভিযোগে ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের বিরুদ্ধে আরও একটি অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ রোববার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে সংস্থাটির পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের সাক্ষরে ৭ ধরনের নথিপত্র তলব করে পৃথক দুটি নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দুদকের জনসংযোগ বিভাগ।
ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর পাঠানো চিঠিতে যে সব কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে—মেসার্স ইপস্ ট্রেডিংয়ের ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের নিমতলী শাখার চলতি হিসাব খোলার আবেদন, ছবিসহ নমুনা স্বাক্ষর কার্ড, কে. ওয়াই. সি ফরম এবং টিপি ও চলতি হিসাব বিবরণী শুরু থেকে বর্তমান পর্যন্ত।
ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের দ্বারা ঢাকার কারওয়ান বাজারে এনবিএল টাওয়ারে বিনিয়োগ ও নির্মাণ সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র। যেমন-প্রাক্কলন, টেন্ডার, ঠিকাদান নির্বাচন, কার্যাদেশ, কাজ সম্পাদন হওয়া সংক্রান্ত প্রত্যয়ন, বিল প্রদানসহ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র। এ ছাড়া যৌথ বিনিয়োগ হয়ে থাকলে চুক্তিপত্র ও ঋণ প্রদান সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র।
চট্টগ্রামের এনবিএল টাওয়ার নির্মাণ সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র। যার মধ্যে রয়েছে প্রাক্কলন, টেন্ডার, ঠিকাদান নির্বাচন, কার্যাদেশ, কাজ সম্পাদন হওয়া সংক্রান্ত প্রত্যয়ন ও বিল প্রদানসহ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র।
রণ হক সিকদার, রিক হক সিকদার, জন হক সিকদার, মমতাজুল হক, মনিকা সিকদার খান, নাসিম হক সিকদার ও সৈয়দ কামরুল ইসলামের ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে এখন পর্যন্ত যেসব ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করা হয়েছে তার বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) মহাব্যবস্থাপক বরাবর পাঠানো অপর চিঠিতে ন্যাশনাল ব্যাংকের প্রয়াত চেয়ারম্যান জয়নুল হক সিকদারের পরিবারের সদস্য রণ হক সিকদার, রিক হক সিকদার, জন হক সিকদার, মমতাজুল হক, মনিকা সিকদার খান, নাসিম হক সিকদার এবং সৈয়দ কামরুল ইসলামের নামে ইস্যুকৃত ক্রেডিট কার্ড সংক্রান্ত অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে কোনো তদন্ত করা হলে সে সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে।
আর যদি কোনো তদন্ত হয়ে না থাকে তাহলে ওই ব্যক্তিদের নামে ইস্যু করা ক্রেডিট কার্ড সংক্রান্ত তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তিন হাজার কোটি টাকারও বেশি ঋণ বিতরণে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে ২০১৬ সাল থেকে দুদকের অনুসন্ধান চলছে।