গাজীপুরের শ্রীপুরে গৃহবধূ মিম আক্তারকে শ্বাসরোধে হত্যা মামলায় স্বামী আল আমিনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। পারিবারিক কলহের কারণে এক মাস আগেই স্ত্রীকে হত্যার পরিকল্পনা করে তিনি। পরিকল্পনা অনুযায়ী এক সপ্তাহ আগেই রশি কেনেন। আল আমিনের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে র্যাব।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে র্যাব-১ গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে জামালপুর জেলার সদর উপজেলার ফৌজদারীমোড় এলাকায় র্যাব-১ ও র্যাব-১৪ যৌথ অভিযান পরিচালনা তাঁকে গ্রেপ্তার করে। হত্যার ঘটনায় গৃহবধূ মিম আক্তারের বাবা ইউসুফ খান বাদী হয়ে গতকাল রাতেই হত্যা মামলা করেছেন।
গ্রেপ্তার আল আমিন (২৫) টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতি উপজেলার কালাই গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে। তিনি মাওনা ইউনিয়নের জনৈক আব্দুস সামাদের বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় সাদ গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।
ভুক্তভোগী গৃহবধূ মিম আক্তার (১৮) সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলার ছোট বেড়াখাড়ুয়া গ্রামের ইউসুফ খানের মেয়ে। তিনি স্বামীর সঙ্গে শ্রীপুর উপজেলা মাওনা গ্রামের জনৈক আব্দুস সামাদের বহুতল ভবনের তিনতলায় থাকতেন।
র্যাব-১ স্পেশালাইজড কোম্পানি পোড়াবাড়ী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার জুন্নুরাইন বিন আলমের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সাত মাস আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় মিম ও আল আমিনের। বিয়ের পর থেকে তাদের মধ্যে দাম্পত্য ও পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হয়। পারিবারিক কলহের জেরে এক মাস আগে স্ত্রীকে হত্যার বিভিন্ন পরিকল্পনা করে স্বামী আল আমিন। পরিকল্পনা অনুযায়ী এক সপ্তাহে আগে বাজার থেকে কিনে আনেন রশি। গত ২৫ জুন (মঙ্গলবার) হত্যার পরিকল্পনা করে স্ত্রীর সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন স্বামী।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বামী আল আমিন স্ত্রী মিম আক্তারকে খুন করার পরিকল্পনা এবং হত্যা করার কথা স্বীকার করেছেন। গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে শ্রীপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান বলেন, হত্যার ঘটনায় গৃহবধূর বাবা বাদী হয়ে গতকাল হত্যা মামলা করেছেন। মামলায় স্বামীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৫ জুন বুধবার বিকেলে উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের মাওনা গ্রামের জনৈক আব্দুস সামাদের বহুতল ভবন থেকে মিম আক্তার নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে শ্রীপুর থানা-পুলিশ।