রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানা এলাকায় ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের দায়ে পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মো. শাহাদত হোসেন এ রায় দেন। আজ মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনাল সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—ইয়াসিন সরদার হৃদয়, তাঁর বন্ধু ফাহাদ শেখ পিয়াল, দেলোয়ার হোসেন দেলু, সুজন ও উজ্জ্বল। রায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে প্রত্যেককে পাঁচ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রায় ঘোষণার সময় পিয়াল, সুজন ও উজ্জ্বল আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণা শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়। অপর দুই আসামি হৃদয় ও দেলোয়ার হোসেন পলাতক রয়েছেন। আদালত তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ১৫ বছর বয়সী ওই কিশোরীর সঙ্গে আসামি হৃদয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। হৃদয় ২০১৯ সালের ২২ নভেম্বর সন্ধ্যায় ওই কিশোরীকে শেরেবাংলা নগর থানা এলাকায় দেখা করতে যেতে বলেন। কিশোরী দেখা করতে গেলে হৃদয় তাঁর বন্ধু পিয়ালের বাসায় নিয়ে যান। সেখানে হৃদয় কিশোরীকে কোমল পানীয়ের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ান। অচেতন অবস্থায় আসামিরা কিশোরীকে ছয় দিন ধরে দলবদ্ধ ধর্ষণ করেন। ২৭ নভেম্বর ভিকটিম কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে বাসায় যায়।
এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর মামলা করেন। ২০২০ সালের ২৩ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার পরিদর্শক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০২১ সালে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। মামলার বিচারকালে আদালত পাঁচজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।