হোম > সারা দেশ > ঢাকা

কেস ডকেট দাখিল হয়নি, সাক্ষ্য গ্রহণ ৩ জুলাই

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার কেস ডকেটের (মামলার যাবতীয় তথ্যাদির সংরক্ষিত নথিপত্র) খোঁজ মেলেনি এখনো। তবে বিচারকাজ শুরুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক জাকির হোসেন আগামী ৩ জুলাই সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেছেন। 

বারবার মামলার কেস ডকেট খুঁজে বের করার নির্দেশনা দেওয়া হলেও তা কার্যকর হচ্ছে না। সর্বশেষ গত ৩০ মে মামলার কেস ডকেট ১৫ জুনের মধ্যে ট্রাইব্যুনালে দাখিলের জন্য চকবাজার থানার সাবেক পুলিশ পরিদর্শক ফরিদ উদ্দিনকে নির্দেশ দেওয়া হয়। বিচারক সেদিন আদেশ দিয়েছিলেন, ওই তারিখের মধ্যে কেস ডকেট দাখিল না করতে পারলে পরিদর্শক ফরিদ উদ্দিনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আজ পরিদর্শক ফরিদ উদ্দিন ট্রাইব্যুনালে হাজির হননি এবং কোন জবাব দাখিল করেননি। এই অবস্থায় ট্রাইবুনাল পরবর্তী তারিখে সাক্ষ্য গ্রহণ হবে বলে জানিয়ে দেন। 

ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০০৫ সালের ২ জুন তৎকালীন ডিবির এসআই ফরিদ উদ্দিন কেস ডকেট গ্রহণ করেন। গত ১১ এপ্রিল ফরিদ উদ্দিনকে কেস ডকেটের বিষয়ে অবহিত করতে ট্রাইব্যুনাল নির্দেশ দেন। ২৭ এপ্রিল চকবাজার থানার সাবেক পরিদর্শক ফরিদ উদ্দিন ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে ট্রাইব্যুনালকে জানান, তিনি যেদিন কেস ডকেট গ্রহণ করেছেন, সেদিনই তৎকালীন ডিবির ডিসি শহিদুল ইসলামের কাছে তা হস্তান্তর করেন। শহিদুল ইসলাম উক্ত কেস ডকেট কী করেছেন, তা তিনি জানেন না। 

এদিকে আসামি আশিষ রায় চৌধুরী ও সাজিদুল ইসলাম ইমনের পক্ষে আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেছেন। ট্রাইব্যুনাল শুনানি শেষে উভয়ের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। 

এ মামলায় কারাগারে রয়েছেন আসামি তারিক সাঈদ মামুন, আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী ও সানজিদুল ইসলাম ইমন। আগের ধার্য তারিখে ইমনকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। আসামি ফারুক আব্বাসী ও আদনান সিদ্দিকী জামিনে আছেন। হাইকোর্ট থেকে জামিনে থাকা আসামি হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন ও আশীষ রায় চৌধুরী কয়েকটি তারিখ অনুপস্থিত থাকায় গত ২৮ মার্চ তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। পরে আশীষ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

এর আগে এ মামলার অন্যতম আসামি ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ, ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম ও সেলিম খান অনুপস্থিত থাকায় তাঁদের বিরুদ্ধে গত ২০ মার্চ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর বনানীর ট্রাম্পস ক্লাবের সামনে গুলি করে হত্যা করা হয় সোহেল চৌধুরীকে। ঘটনার পর সোহেলের ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী বাদী হয়ে গুলশান থানায় হত্যা মামলা করেন। ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ নয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। বিতর্কিত ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে বাদানুবাদই এ হত্যার নেপথ্য কারণ বলে মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলায় র‍্যাকের নিন্দা

হাদির জানাজা ঘিরে যান চলাচল নিয়ে ডিএমপির নির্দেশনা

তোপখানায় উদীচীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন

হাদির মরদেহ জাতীয় হৃদ্‌রোগ ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়েছে, রাখা হবে হিমঘরে

হাদির জানাজা আগামীকাল বেলা আড়াইটায়, জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায়

‎হাদি হত্যার বিচার দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল

বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের নতুন কমিটি

প্রথম আলোর কার্যালয়ের সামনে কর্মীদের মানববন্ধন

হাদির হত্যাকাণ্ডকে ‘ব্যবহার করে’ উচ্ছৃঙ্খলতার নিন্দা গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শন আইজিপির