চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে কর্মরত অস্থায়ী কর্মচারীরা মানববন্ধন করেছেন। আজ বুধবার সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয় ৷ প্রায় দুই ঘণ্টা চলে কর্মসূচি। মানববন্ধন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন কর্মচারীরা।
মানববন্ধনে প্রায় দেড় শতাধিক কর্মচারী অংশ নেন ৷ তাদের হাতে ‘আমাদের দাবি চাকরি স্থায়ীকরণ’, ‘চুক্তিভিত্তিক বাস হেলপার চাকরি স্থায়ী চাই’ লেখা সংবলিত প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।
কর্মচারীরা বলেন, আজকে মানববন্ধন করে আমাদের চাকরি স্থায়ী করার দাবি জানাতে হচ্ছে ৷ যা আমাদের নিজেদের জন্য লজ্জাজনক। আমরা জানি না প্রশাসন আমাদেরকে কীভাবে দেখছে। ১০ বছর চাকরি করার পরও একজন কর্মচারীর চাকরির নিশ্চয়তা না থাকলে মানববন্ধন ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না ৷ আমরা প্রশাসনের কাছে বারবার দাবি জানিয়েছি, সময় দিয়েছি। কিন্তু প্রশাসন আমাদের জন্য কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
কর্মচারীরা আরো বলেন, দীর্ঘ ৩-৪ বছর ধরে কেবল আশ্বাসই দেওয়া হচ্ছে কিন্তু বাস্তবে আমাদের চাকরি স্থায়ী হয়নি। বর্তমানে দ্রব্যমূল্য লাগামহীন। আর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমাদের যে বেতন দেওয়া হয় তাতে আমাদের সংসার চালানো কষ্টকর। আমার সন্তানদের পড়াশোনার খরচ চালানো আমার জন্য কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। আমরা বাধ্য হয়ে আজকে পথে এসেছি। আমাদের দাবি একটাই। আমাদের চাকরি স্থায়ীকরণ করতে হবে। অন্যথায় আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি দিব।
জানা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে প্রায় ২৫০ জন অস্থায়ী কর্মচারী আছেন। চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের দৈনিক ৬০০ টাকা হারে মজুরি দেওয়া হয়। মাতৃত্বকালীন কিংবা সাধারণ কোনো ছুটিরই ব্যবস্থা নেই। ছুটি কাটালে দৈনিক মজুরি পান না কর্মচারীরা ৷ এতে সংসার চালাতেই হিমশিম খাচ্ছেন তারা।
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হকের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি।