হোম > সারা দেশ > কিশোরগঞ্জ

ছেলের কাঁধে চড়ে বাড়ি ফিরলেন বাবা

সাখাওয়াত হোসেন হৃদয়, পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ)

ছেলের কাঁধে চড়ে ঈদগাহ থেকে বাড়ি ফিরছেন আবদুল হেকিম নামের এক বাবা। সন্তানের কাঁধে বাবার এই ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা ভাইরাল হয়ে যায়। কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার সুখিয়া ইউনিয়নের সুখিয়া গ্রামের ঘটনা এটি। গত মঙ্গলবার পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়ভাবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার সুখিয়া সরকারবাড়ির বাসিন্দা আবদুল হেকিম। বয়স তাঁর ৭৫। দীর্ঘদিন ধরে হাঁপানিজনিত রোগে ভুগছেন তিনি। বয়সের কারণে ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারেন না। তাই ঈদের দিন একমাত্র ছেলে দুলাল মিয়াকে নিয়ে বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরের স্থানীয় ঈদগাহে নামাজ আদায় করতে যান। নামাজ শেষে ফেরার পথে বৃষ্টি শুরু হয়। এ সময় বয়োবৃদ্ধ পিতা আবদুল হেকিম কাদাময় রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করতে পারবেন না ভেবে নিজের কাঁধে চড়ান ছেলে দুলাল মিয়া। সন্তানের কাঁধে চড়ে ঈদগাহ থেকে গ্রামের মেঠো পথ ধরে বাড়ি ফিরছেন বাবা। এলাকার একজন এমন ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দেন, যা মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে ভাইরাল হয়ে যায়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীরা তাঁদের মন্তব্যে উল্লেখ করেন, এখনকার সময়ে এমন দৃশ্য বিরল। যেখানে প্রতিনিয়ত খবরের শিরোনাম হচ্ছে সন্তানেরা পিতামাতাকে রাস্তায় ফেলে যাচ্ছেন কিংবা বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। সে সময় বয়োবৃদ্ধ পিতার প্রতি দুলাল মিয়ার এমন দায়িত্ব-কর্তব্য নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। পিতা-পুত্রের সম্পর্ক এমনই হওয়া উচিত। যে পিতা একসময় সন্তানকে কাঁধে চড়িয়ে ঘুরিয়েছেন, সেই পিতার বার্ধক্যে ছেলে তাঁর দায়িত্ব-কর্তব্য পালন করছেন।

এ বিষয়ে ছেলে দুলাল মিয়া বলেন, ‘ভাইরাল হওয়ার জন্য আমি এমন কাজ করিনি। আমার আব্বা (পিতা) দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। সব সময় আব্বার সেবা করছি। সেদিন ঈদগাহ থেকে নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার পথে বৃষ্টি হচ্ছিল। বৃষ্টিতে গ্রামের রাস্তা কর্দমাক্ত হয়ে পড়ে। ওই রাস্তা দিয়ে আব্বা হাঁটতে পারছিলেন না। তাই তাঁকে কাঁধে করে বাড়ি এনেছি। আমার এলাকার কেউ একজন সেই ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন। তাই এই ছবি ভাইরাল হয়েছে। আমি সারা জীবন আব্বার সেবা করে যেতে চাই। আমার আব্বার জন্য দোয়া করবেন।’

সৈয়দুর রহমান নামের স্থানীয় একজন বলেন, ‘অসুস্থ বাবার প্রতি ছেলের এমন দায়িত্ব নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। বাবা-ছেলের সম্পর্ক এমনই হওয়া উচিত। দুলাল মিয়ার জন্য এলাকাবাসী হিসেবে আমরাও গর্বিত। বাবার প্রতি এমন দায়িত্ব-কর্তব্য প্রত্যেক সন্তানের পালন করা উচিত।’

সুখিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবদুল হামিদ টিটু বলেন, ‘আমার এলাকার এক ছেলে বাবার প্রতি দায়িত্ব-কর্তব্য পালনের জন্য সর্বত্র প্রশংসনীয় হচ্ছে। এটি আমার জন্যও গর্বের। আমাদের সবার উচিত বাবা-মায়ের প্রতি যত্নবান হওয়া। তাঁদের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করা।’ 

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলায় র‍্যাকের নিন্দা

হাদির জানাজা ঘিরে যান চলাচল নিয়ে ডিএমপির নির্দেশনা

তোপখানায় উদীচীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন

হাদির মরদেহ জাতীয় হৃদ্‌রোগ ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়েছে, রাখা হবে হিমঘরে

হাদির জানাজা আগামীকাল বেলা আড়াইটায়, জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায়

‎হাদি হত্যার বিচার দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল

বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের নতুন কমিটি

প্রথম আলোর কার্যালয়ের সামনে কর্মীদের মানববন্ধন

হাদির হত্যাকাণ্ডকে ‘ব্যবহার করে’ উচ্ছৃঙ্খলতার নিন্দা গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শন আইজিপির