যুক্তরাষ্ট্রের এক কিশোরীর সঙ্গে অনলাইনে বন্ধুত্ব করেন খুলনার এক তরুণ। বন্ধুত্বের সুযোগে কিশোরীকে প্রলুব্ধ করে নগ্ন ছবি হাতিয়ে নেন। পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রের ঢাকা দূতাবাসের অভিযোগে খুলনা থেকে ওই তরুণকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁর নাম মো. সামির (২০)। এই ঘটনায় ঢাকার যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের এক কর্মকর্তা গুলশান থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে একটি মামলা করেছেন।
মামলাটি তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ইউনিটি (সিটিটিসি)।
আজ রোববার সন্ধ্যায় ডিএমপির সিটিটিসি প্রধান ও অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান জানান, গত ২১ আগস্ট খুলনা শহরের সোনাডাঙ্গা থানার নিউমার্কেট এলাকা থেকে সামিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুদিনের রিমান্ড শেষে তিনি কারাগারে রয়েছেন।
মামলাটির তদন্ত সংশ্লিষ্ট সিটিটিসির কর্মকর্তারা জানান, গত ২৬ জুলাই গুলশান থানায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঢাকার দূতাবাসের আঞ্চলিক কর্মকর্তা মাইকেল লি জিডি করেন। জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ডিসকর্ড অ্যাপের মাধ্যমে বাংলাদেশের তরুণ সামিরের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ১৩ বছর বয়সী কিশোরীর পরিচয় হয়। এরপর তাকে প্রলুব্ধ করে ওই অ্যাপ ও ই-মেইলে আপত্তিজনক ছবি সংগ্রহ করেন সামির।
জিডির তদন্ত শুরু করে সিটিটিসি। গত ২১ আগস্ট তাঁকে খুলনা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার নামে ওই দিনই গুলশান থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেন মাইলেক লি। এর আগে ওই কিশোরীর মা যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তারা এই জিডি ও মামলা করেন।
সিটিটিসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সামিরের ল্যাপটপ ও মোবাইলে যুক্তরাষ্ট্রের ওই কিশোরী ছাড়াও অস্ট্রেলিয়া, কানাডাসহ আরও কয়েকটি দেশের কিশোরী ও তরুণীদের নগ্ন ছবি ও ভিডিও পাওয়া গেছে।
সামির রাজশাহীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তবে তিনি লেখাপড়ায় অনিয়মিত।