বাড়িভাড়া ভাতা বৃদ্ধিসহ তিন দফা দাবি আদায়ে আগামীকাল শনিবার (১৮ অক্টোবর) বিক্ষোভ ও কালো পতাকা মিছিল করার ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনরত এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা। মিছিলটি শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে শেষ হবে। এরপর সেখানেই সমাবেশ করার কথা রয়েছে।
এর আগে আজ শুক্রবার দুপুরে অনশন কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। অনশন শেষে আন্দোলনরত শিক্ষক সংগঠনগুলোর মোর্চা এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্যসচিব দেলোয়ার হোসেন আজিজী নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
দেলোয়ার হোসেন আজিজী বলেন, ‘সারা দিন শিক্ষকেরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান করে তাঁদের দাবিদাওয়া তুলে ধরেছেন। দুপুরের পর বিকেল পর্যন্ত অনশন করেছেন। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে কেউ আসেনি। আমাদের আন্দোলন চলাকালে শিক্ষকদের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটেছে। আগামীকাল শনিবার বিক্ষোভ ও কালো পতাকা মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।’
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ও রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনা অভিমুখে ‘পদযাত্রা’ কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। ওই দিনই দুপুরে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরারের (সি আর আবরার) সঙ্গে বৈঠক করে শিক্ষক প্রতিনিধিদল। বৈঠক শেষে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, বাড়িভাড়া ৫ শতাংশের বেশি বাড়ানো সম্ভব নয়। শিক্ষকেরা রাজি হলে ১ নভেম্বর থেকেই এই ৫ শতাংশ বাড়িভাড়া বৃদ্ধি বাস্তবায়ন সম্ভব। তবে সরকারের এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন শিক্ষকেরা।
এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা তাঁদের মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া ভাতা, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের চিকিৎসাভাতা ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৫০০ টাকা করা এবং এমপিওভুক্ত কর্মচারীদের উৎসব ভাতা মূল বেতনের ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭৫ শতাংশ করার দাবি তুলেছেন।
এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের ব্যানারে ১২ অক্টোবর থেকে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। সেদিন সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু হলেও দুপুরে পুলিশের অনুরোধে তাঁরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চলে যান। ওই দিন দুপুরে শিক্ষকদের একটি অংশের ওপর পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে, জলকামানের পানি ছিটিয়ে এবং লাঠিপেটা করে তাঁদের সরিয়ে দেয়। এর প্রতিবাদে পরদিন সোমবার থেকে সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লাগাতার কর্মবিরতি ঘোষণা করা হয়।