রাজধানীর মিন্টো রোডের হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল থেকে প্রকৌশলী সুব্রত সাহার মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে নিহতের পরিবার। বুধবার রাতে নিহতের বড় ভাই স্বপন সাহা মামলাটি করেন। আজ বৃহস্পতিবার মামলার বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম।
রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের অতিরিক্ত ম্যানেজার সুব্রত সাহা নিহতের ঘটনায় তার বড় ভাই বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় কাদেরকে আসামি করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মামলায় সরাসরি কাউকে আসামি করা হয়নি। তবে পরিবার থেকে কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে সন্দেহের কথা জানিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মরদেহ হাসপাতালে আছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
নিহত সুব্রত সাহার ভাইয়ের ছেলে জয়ন্ত সাহা জানান, আমরা হাসপাতালে মরদেহের অপেক্ষায় আছি। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ চাঁদপুরের গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে মৃতদেহ সৎকার করা হবে।
গতকাল বুধবার দুপুরে মিন্টো রোডের হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের দ্বিতীয় তলার কার্নিশ থেকে অতিরিক্ত ম্যানেজার প্রকৌশলী সুব্রত সাহার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি বাংলাদেশ সার্ভিস লিমিটেড (বিএসএল) শাখার কর্মী।
নিহতের স্ত্রী নুপুর সাহা অভিযোগ করেন, তাঁর স্বামী ২২ বছর ধরে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে চাকরি করে আসছিলেন। গত ৬ মাস ধরে কর্মস্থলে নানাভাবে চাপে ছিলেন। তিনি যে কাজ করতেন সেখান থেকে সরিয়ে অন্য কাজে দেওয়া হয়। যেটা তার পক্ষে করা সম্ভব না। তিনি পরিবর্তন করতে চাইলেও সেটা তাঁকে দেওয়া হয়নি। তাঁকে সব সময় চাপে রাখা হতো। তাঁকে ঠিকভাবে কাজ করতে দেওয়া হতো না।