গোপালগঞ্জে রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, ‘রেললাইনে যেসব দুর্ঘটনা হয়েছে তার জন্য রেল দায়ী নয়। রেললাইনে কোনো দুর্ঘটনা হলে সেই দোষ রেলের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়। কেউ এসে রেলের ওপর ধাক্কা খায়, তার দায়ও রেলের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়। এটা ভুল ধারণা। রেল যখন চলাচল করে তখন তার দুপাশে রেল আইন অনুযায়ী ১৪৪ ধারা জারি করা থাকে।’
আজ সোমবার সকালে গোপালগঞ্জ রেলস্টেশনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘর দেশব্যাপী প্রদর্শনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
রেলমন্ত্রী বলেন, ‘রেল তো তার নিজস্ব লাইনে চলাচল করে। রেল কাউকে ধাক্কা দিতে যায় না। অন্যরা রেলের ওপর এসে ধাক্কা খায়। আরেকজন এসে রেলে ধাক্কা খাবে, তার দায় রেলের ওপর দেবে এটা যুক্তিসংগত নয়। এসব জায়গাটাতে আমাদের একটু সচেতন হওয়ার প্রয়োজন আছে। আর কোনো দুর্ঘটনা ও মৃত্যুই আমাদের কাছে কাম্য নয়। কিন্তু রেললাইনে যেসব দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেগুলো রেলের দুর্ঘটনা নয়। রেলের দুর্ঘটনা সেটাই যদি রেল লাইনচ্যুত হয়। রেল রেলের পথ ছেড়ে কোনো বাড়িতে ঢুকে যায় বা অন্য রাস্তায় চলে যায় তাহলে সেটা হবে রেলের দুর্ঘটনা।’
মো. নূরুল ইসলাম সুজন, ‘রেলের যেসব গেট আছে সেগুলোর দায়িত্বে যাঁরা আছেন তাঁদের নিতে হবে। রাস্তা করেই খালাস হওয়া যাবে না, নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে হবে। বাইরে থেকে যেন কোনো কিছু রেল চলাচলের পথকে অনিরাপদ করতে না পারে, সেদিকে খেয়াল করতে হবে।’
খুলনার সঙ্গে মোংলার রেল যোগাযোগ ছিল না। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে মোংলা পোর্টের সঙ্গে রেলযোগাযোগ স্থাপিত হবে বলেও জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানার সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন রেলওয়ের মহাপরিচালক ডি এন মজুমদার, রোলিং স্টকের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মঞ্জুরুল আলম, গোপালগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান প্রমুখ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে ফিতা কেটে জাদুঘরের উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী। উদ্বোধনের পর গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া পৌঁছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধের বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি। পরে সেখানে সুরা ফাতিহা পাঠ, বঙ্গবন্ধুসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের সব শহীদের রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া মোনাজাত করা হয়।