বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী তারিকুজ্জামান সানির মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২০ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিশকাত শুকরানা এই তারিখ ধার্য করেন।
আজ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকার দোহারের কুতুবপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির এসআই শামসুল আলম প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় আদালত নতুন তারিখ ধার্য করেন।
মৃত সানির ১৫ বন্ধু এই মামলার আসামি। আসামিরা হলেন শরীফুল হোসেন, শাকিল আহম্মেদ, সেজান আহম্মেদ, রুবেল, সজীব, নুরজামান, নাসির, মারুফ, আশরাফুল আলম, জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন, নোমান, জাহিদ, এটিএম শাহরিয়ার মোমিন, মারুফুল হক মারুফ ও রোকনুজ্জামান ওরফে জিতু।
গত ১৪ জুলাই একসঙ্গে ১৫-১৬ জন যুবক দোহারের মৈনট ঘাটে পদ্মা নদীতে ঘুরতে যান। সন্ধ্যার পর সানি নামে ওই বুয়েট শিক্ষার্থী নিখোঁজ হন। রাতেই স্থানীয়দের দেওয়া খবরে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দোহার থানার পুলিশ। এরপর ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। পরদিন সকালে সানির মরদেহ উদ্ধার করে ডুবুরি দল। সুরতহাল শেষে ওই বুয়েট শিক্ষার্থীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
পদ্মায় বুয়েটের নিখোঁজ ছাত্রের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় সানির বড় ভাই হাসাদুজ্জামান একটি হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় আসামি করা হয় সানির সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া ১৫ বন্ধুকে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বুয়েটের শিক্ষার্থী সানিসহ ১৬ যুবক একসঙ্গে ঘুরতে যান মিনি কক্সবাজার নামে খ্যাত দোহারের মৈনট ঘাটে। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বন্ধুরা তাঁকে ধাক্কা মেরে নদীতে ফেলে দিয়ে হত্যা করেন।
আসামিদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, মোবাইলে সেলফি তুলতে গিয়ে অসাবধানতাবশত পা পিছলে পড়ে যান সানি। তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে ৯৯৯-এ ফোন করে বিষয়টি পুলিশকে জানান। পুলিশ এবং স্থানীয় প্রশাসনের চেষ্টায় মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।