রাজধানীর আদাবরের ঢাকা উদ্যান লেগুনা স্ট্যান্ডে শিশু ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির নাম মো. সেলিম (৩৮)। গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতে রাজধানীর বাড্ডা থানার খালপাড় হাজীপাড়া রোড এলাকার একটি গ্যারেজে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় নির্যাতিত শিশুটিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার ইকবাল রোড থেকে তুলে ঘটনাস্থলে নিয়ে যেতে ব্যবহৃত সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি জব্দ করা হয়।
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর শ্যামলীতে নিজ কার্যালয়ে এ তথ্য জানান ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) এইচ এম আজিমুল হক।
ডিসি আজিমুল হক বলেন, গত ১৪ মার্চ মধ্যরাতে আদাবর থানার বেড়িবাঁধের পাশের উড়াল পাখি লেগুনা স্ট্যান্ডের দুই ব্যক্তি এক শিশুকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিশুটির বাবা বাদী হয়ে আদাবর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
আজিমুল হক আরও বলেন, মোহাম্মদপুরের ইকবাল রোড থেকে অটোরিকশাচালক ও তাঁর এক সহযোগী শিশুটিকে ফুসলিয়ে ঘটনাস্থলে নিয়ে যান। ঘটনাস্থলের আশপাশে সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে একটি সন্দেহজনক সিএনজিকে চিহ্নিত করা হয়। এ ছাড়া ভুক্তভোগীর দেওয়া তথ্যানুযায়ী ঢাকা উদ্যান, নবোদয় হাউজিং, শিয়া মসজিদ, তাজমহল রোড, ইকবাল রোড এলাকার ২৩টি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে সন্দেহজনক সিএনজিটির নম্বর শনাক্ত করা হয়। প্রযুক্তির সহায়তায় অটোচালকের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। পরে অভিযান চালিয়ে চালক সেলিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে তাঁর সহযোগী পলাতক রয়েছেন। তাঁর নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁকে ধরতে অভিযান চলমান রয়েছে।
এ সময় শিশুটি চিৎকার করলে মুখ চেপে ধরে ঘটনাস্থলে আনা হয়। প্রথমে পলাতক আসামি জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন, পরে সেলিম ধর্ষণ করেন। পলাতক আসামি পুনরায় শিশুটিকে ধর্ষণ করেন।
পুলিশ জানায়, উপর্যুপরি ধর্ষণের কারণে শিশুটি গুরুতর অসুস্থ এবং ব্যাপক রক্তক্ষরণ হয়। শিশুটিকে ছেড়ে দিলে হেঁটে শিয়া মসজিদ এলাকায় গেলে বড় বোনের সঙ্গে দেখা হয়। বোন তাকে দ্রুত সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থা গুরুতর দেখে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। বর্তমানে ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টার, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিশুটি।