করোনাসহ নানা কারণে বঞ্চিত ১৯৯২-৯৩ সালে জন্ম নেওয়া শিক্ষার্থীদের একবারের জন্য হলেও সরকারি চাকরির পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া উচিত। এমনটাই মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি।
আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে চাকরিপ্রত্যাশী শিক্ষার্থীদের ‘৩ বছর করোনায় বঞ্চিত, ব্যাকডেট বঞ্চিত, ৩২ বঞ্চিত জেনারেশনদের চাকরিতে আবেদনের সুযোগ প্রদান’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জোনায়েদ সাকি এসব কথা বলেন।
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘৯২ থেকে ৯৩ সালে যারা জন্মগ্রহণ করেছেন, তাঁরা বঞ্চনার শিকার। কারণ, তাঁরা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ঠিকঠাকভাবে অংশগ্রহণ করতে পারেননি। করোনার কারণে একটি গ্যাপ তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া সরকারি চাকরির বয়সসীমা যখন ৩২ করা হয়েছে, সে সুযোগটাও তারা নিতে পারেননি। সুতরাং, বিষয়টি সরকারের মানবিকভাবে বিবেচনা করা উচিত। সংশ্লিষ্টদের উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত, যাতে এই পরীক্ষার্থীরা অন্তত একবার হলেও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে।
সাকি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে সরকারি চাকরির যে বয়সসীমা, এটি এমন একটি অবস্থায় রয়েছে যে, এই সীমা পার করলে একজন শিক্ষানবিশের ক্ষেত্রে প্রাইভেট সেক্টরে চাকরি পাওয়াটা কঠিন হয়ে ওঠে। কারণ, তাদের যথেষ্ট অভিজ্ঞতা নেই। জনপ্রশাসনসংক্রান্ত সংস্কার কমিটি কিন্তু সরকারি চাকরির বয়সসীমা ৩৫ করার সুপারিশ করেছে। সরকারি চাকরির যাবতীয় প্রস্তুতির জন্য শিক্ষার্থীর কিছুটা সময় দরকার হয়। বর্তমান সময়সীমায় (৩২ বছর) তা কঠিন।’
জোনায়েদ সাকি আরও বলেন, ‘এই জুলাই অভ্যুত্থান কিন্তু চাকরির জন্যই হয়েছে। কোটা সংস্কারের দাবি থেকেই কিন্তু অভ্যুত্থানের সূত্রপাত। সুতরাং বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে চাকরি একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ, আমরা তরুণদের জন্য উদ্যোক্তামূলক পরিবেশ তৈরি করতে পারিনি। সুতরাং, তরুণদের চাকরির ক্ষেত্রে এখন সুযোগটা বাড়ানো প্রয়োজন। কারণ বেকারের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে কিন্তু সামাজিকভাবে অস্থিরতা বাড়বে।’