সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে দল-মতনির্বিশেষে সবার জন্য কাজ করার অঙ্গীকার করলেন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফুর রহমান দোলন। ঈগল প্রতীক পেয়ে আনুষ্ঠানিক প্রচারের শুরুতে এমন অঙ্গীকার করেন তিনি।
আজ সোমবার সকালে ফরিদপুরের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ঈগল প্রতীক বরাদ্দ পান দোলন। বিকেলে আলফাডাঙ্গার কামারগ্রামে বাবা ওবায়দুর রহমানের কবর জিয়ারত করেন তিনি। পরে তাঁর বাসভবনের সামনে সমবেত হাজারো কর্মী-সমর্থকের উদ্দেশে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন।
ঈগল প্রতীকের প্রার্থী দোলন বলেন, ‘আমি ফরিদপুর-১ আসনের মানুষের জন্য কাজ করে আসছি। এমপি নির্বাচিত হলে সবার জন্য কাজ করব। আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী ও মধুখালী উপজেলাকে আমূল বদলে দেব।’
এর আগে সরেজমিনে দেখা যায়, দোলন ঈগল প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পরপরই তাঁর বাড়ি কামারগ্রামের দিকে আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী ও মধুখালীর বিভিন্ন জায়গা থেকে সর্বস্তরের মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে। দুপুরেই তা পরিণত প্রায় কয়েক হাজারে। বিকেলের দিকে মিছিলের পর মিছিল আসতে থাকে। এ সময় নানান স্লোগানে মুখরিত হয় চারপাশ।
স্থানীয়রা বলছেন, আরিফুর রহমান দোলন ফরিদপুর-১ আসনে ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে ব্যাপক গ্রহণযোগ্য জননেতা। প্রপিতামহ কাঞ্চন মুন্সীর নামে ফাউন্ডেশন গড়ে দুই দশক ধরে তিনি আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী ও মধুখালী উপজেলার মানুষের জন্য নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করে আসছেন।
স্থানীয় সচেতন মহল বলছেন, ফরিদপুর-১ আসনে অন্য প্রার্থীদের নিয়ে কমবেশি বিতর্ক থাকলেও দোলন একেবারে ক্লিন ইমেজের। বিশেষ করে তাঁর পরিবার শত বছর ধরে গোটা অঞ্চলের উন্নয়নে ভূমিকা রেখে আসছে। সেই হিসাবে দোলন এমপি হলে নিঃসন্দেহে আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী ও মধুখালী উপজেলাকে নানামুখী উন্নয়নে আমূল বদলে দেবেন।
প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিক প্রচার চালাতে পারবেন ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটের দিন রেখে গত ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।