গাজীপুরের টঙ্গীতে ৫৬তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাত চলছে। আজ রোববার সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে শুরু হয় এই মোনাজাত। এতে অংশ নিতে আশপাশের বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নেন মুসল্লিরা।
ইজতেমা স্থলে গিয়ে দেখা গেছে, ইজতেমাস্থল ও এর আশপাশের তিনটি সড়কে যান চলাচলের নির্দেশনা দেয় গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। এরপর আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে গতকাল শনিবার রাতেই টঙ্গী তুরাগ তীরে অবস্থান নেন লাখো মুসল্লি।
ইজতেমা মাঠে জায়গা না থাকায় বিভিন্ন সড়কে বসে পড়েছেন মুসল্লিরা। টঙ্গীর মন্নু গেট, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী বাজার থেকে স্টেশন রোড, আব্দুল্লাহপুর থেকে কামারপাড়া সড়কে মুসল্লিরা অবস্থান নিয়েছেন। তাঁরা জায়নামাজ, চাদর ও পাটি বিছিয়ে সড়কে বসেছেন।
এ ছাড়া টঙ্গীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেল, ময়দানের আশপাশের এলাকায় বাসার ছাদে মুসল্লিরা অবস্থান করছেন।
নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া থেকে মোনাজাতে অংশ নিতে ২৫ জনের একটি দল নিয়ে টঙ্গীর মন্নু গেট এলাকায় অবস্থান নেন ষাটোর্ধ্ব ইদ্রিস আলী। তিনি বলেন, ‘আমরা এবারের ইজতেমার মূল অনুষ্ঠানে আসতে পারিনি। তাই এলাকার যুবক, মধ্যবয়সীদের নিয়ে মোনাজাতে অংশ নিতে চলে এসেছি।’
পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও মোনাজাতে অংশ নিতে এসেছেন। গাজীপুরের কালীগঞ্জ থানার সানায়া গ্রাম থেকে মাকে নিয়ে এসেছেন জাকিয়া। অবস্থান নিয়েছেন টঙ্গী স্টেশন রোড এলাকার মাইশা জেনারেল হাসপাতালের ছাদে। জাকিয়া বলেন, ‘বৃদ্ধ মায়ের ইচ্ছেপূরণেই আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে টঙ্গীতে এসেছি।’
এদিকে ফজরের নামাজের পর বয়ান করেন বাংলাদেশের মাওলানা রবিউল, হেদায়েতি বয়ান করবেন ভারতীয় মাওলানা আব্দুর রহমান। তাঁর বয়ান বাংলায় অনুবাদ করবেন মাওলানা আব্দুল মতিন।
হেদায়েতি বয়ান শেষে ইজতেমা আয়োজক কমিটির মুরুব্বিদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটের দিকে আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন কাকরাইল মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা জুবায়ের।
ইজতেমার আয়োজক কমিটির গণমাধ্যম সমন্বয়কারী মুফতি জহির ইবনে মুসলিম বলেন, ‘আজ আখেরি মোনাজাতে প্রায় ২০ লাখ মুসল্লির সমাগম ঘটতে পারে। স্থানীয়রা নিজেদের উদ্যোগে ময়দান থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরত্বে মাইকের ব্যবস্থা করেছেন।’