ট্রেন দেখে দ্রুত দৌড়ে এসে শ্রমিকবাহী বাসের চালককে নিষেধ করা সত্ত্বেও তা মানা হয়নি। দ্রুত যাওয়ার জন্য বাসটি রেললাইনের ওপর তুলে দেওয়া হয়। এ সময় ট্রেন সজোরে বাসটিকে ধাক্কা দেয়। এতে বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে রাস্তায় পড়ে যায়। এভাবেই দুর্ঘটনার কথা জানাচ্ছিলেন প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় বাসিন্দা হাসান মিয়া।
হাসান মিয়া বলেন, ‘ট্রেনটি চলে গেলে আমিসহ আশপাশের লোকজন এসে সবাইকে উদ্ধার করি। গুরুতর আহত তিনজনকে বাসের নিচ থেকে টেনে বের করা হয়। মৃত এক নারীকে অনেক কষ্ট করে বের করতে হয়েছে। আহত শ্রমিকদের সবাইকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সংঘর্ষের সময় রেললাইনের গেটম্যান তাঁর কর্মস্থলে উপস্থিত ছিলেন না।’
আরেক স্থানীয় বাসিন্দা আলমাস আলী বলেন, ‘শুধু আজকে নয়, রক্ষিত রেলক্রসিং থাকলেও এখানে দায়িত্বরত কর্মচারী ঠিকমতো কাজ করেন না। বেশির ভাগ সময় তাঁর ঘর তালাবদ্ধ থাকে। প্রায়ই ট্রেন চলাচলের সময় ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করে পথচারীরা।’
শ্রীপুর রেলওয়ের স্টেশনমাস্টার হারুন অর রশিদ বলেন, ‘দায়িত্বে অবহেলার বিষয়টি আমার জানা নেই।’
ঘটনার পর থেকে গেটম্যান পলাতক রয়েছে কেন—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে বিস্তারিত বলা যাবে।
উল্লেখ্য, আজ রোববার সকাল ৭টার দিকে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার ঢাকা-ময়মনসিংহ রেললাইনের মাইজপাড়া এলাকায় শ্রমিকবাহী একটি বাসে ট্রেনের ধাক্কায় এক নারী শ্রমিকসহ চারজন নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনায় অন্তত ১২ জন শ্রমিক গুরুতর আহত হন।