কিশোরগঞ্জে মাটিতে পুঁতে রাখা এক তরুণের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার বিকেলে সদর উপজেলার রশিদাবাদ ইউনিয়নের উলুহাটি এলাকা থেকে এই লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশটি ১০ দিন আগে নিখোঁজ হওয়া একই ইউনিয়নের সোহান আহমেদ আলিফের (২৩) বলে তাঁর মা শনাক্ত করেছেন।
সোহান রশিদাবাদ ইউনিয়নের বেরুয়াইল (কলাপাড়) গ্রামের প্রবাসী শফিকুল আহমেদ বাচ্চুর ছেলে। ২০ মার্চ সোহান নিখোঁজ হন। পরিবারের লোকজন তাঁকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ২৮ মার্চ তাঁর মা হাওয়া আক্তার সদর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
রশিদাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম জুয়েল জানান, গতকাল সকালে বৃষ্টি সময় রশিদাবাদ ইউনিয়নের উলুহাটির বন্দের গাউছুল আজম কবরস্থানের জন্য বরাদ্দ করা জায়গায় মাটির ডিবির এক পাশের মাটি সরে যায়। এ সময় ওই স্থানে কাক ও শিয়ালের বিচরণ দেখে এলাকার লোকজন সেখানে ছুটে যান। লোকজন মাটিতে পুঁতে রাখা লাশের অংশ বিশেষ দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের ডোম সাহাবুদ্দিনকে দিয়ে মাটি খুঁড়ে লাশ উদ্ধার করে।
ইউপি চেয়ারম্যান আরও জানান, নিখোঁজ হওয়া সোহানের মা লাশের পরনে কালো রঙের জিনস প্যান্ট ও কোমরে কালো রঙের বেল্ট দেখে নিশ্চিত হন এটি তাঁর ছেলের মরদেহ।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দাউদ জানান, লাশ কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। লাশটি হাওয়া আক্তার তাঁর ছেলের বলে শনাক্ত করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার হাওয়া বাদী হয়ে পাঁচজনের নামসহ ছয়-সাতজনকে অজ্ঞাত আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
ওসি বলেন, ‘ইতিমধ্যে এজাহারনামীয় আসামি হুমায়ুন ও আনন্দকে গ্রেপ্তার করেছি। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। আজ গ্রেপ্তার আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।’