টাঙ্গাইলে শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে আওয়ামী লীগের বিবদমান কোনো পক্ষকেই সমাবেশ করতে দেয়নি পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পুরো শহরে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করে। সংঘর্ষ এড়াতে শহরের অলি-গলিতে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
তবে দুই পক্ষই নিরাপদ দূরত্বে বজায় রেখে পৌরসভার সামনে ও পূর্ব আদালতপাড়া মোড়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে।
এর আগে জেলা আওয়ামী লীগের একটি পক্ষ সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে আজ (বৃহস্পতিবার) শহরের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে সমাবেশের আহ্বান করেন। তাদের দাবি, ধর্ষণ মামলার আসামি অব্যাহতি প্রাপ্ত শহর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনি গ্রেপ্তার ও বিচারের।
অপর পক্ষ শ্রমিক ফেডারেশনের ব্যানারে একই স্থানে শ্রমিক সমাবেশ আহ্বান করে। এর সমর্থনে ছিল গত নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের সমর্থকেরা। শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ওরফে ছোট মনির গোলাম কিবরিয়ার ওরফে বড় মনির ভাই।
প্রশাসন কোনো পক্ষকেই শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যান ব্যবহার করার অনুমতি না দিলেও উভয় পক্ষই সেখানে সমাবেশের প্রস্তুতি নেয়। সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির সমর্থকেরা আদালতপাড়ার বাসভবনের সামনে সকাল থেকে সমবেত হতে থাকে। অপর পক্ষের সমর্থকেরা পৌরসভা এবং থানাপাড়া এলাকায় জড়ো হয়।
এর আগে সকাল থেকেই বিপুলসংখ্যক পুলিশ পৌর উদ্যান এলাকায় অবস্থান নেয়। বেলা ১১টার দিকে সংসদ সদস্যের বাড়ির সামনে থেকে মিছিল বের করার চেষ্টা করা হলে পুলিশ বাধা দেয়। পরে তারা সেখানেই সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে।
সমাবেশে বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির, কেন্দ্রীর যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মামুন অর রশিদ, জেলা শ্রমিক ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বালা মিয়া, পৌরসভার কাউন্সিলর আতিকুর রহমান ওরফে মোর্শেদ ও আমিনুর রহমান, মাওলানা ভাসানীর নাতি হাসরত খান ভাসানী প্রমুখ।
একই সময় পৌরসভা ভবনের সামনে থেকে গোলাম কিবরিয়া বড় মনির বিচারের দাবিতে মিছিল বের করার চেষ্টা করে অপর পক্ষ। পৌরসভা মেয়র এস এম সিরাজুল হকের নেতৃত্বে মিছিলটি পৌরসভার চত্বর থেকে রাস্তার নামার পরেই পুলিশ বাধা দেয়। পরে তারা পৌর ভবনের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে।
এ সময় বক্তারা বলেন, ‘গোলাম কিবরিয়ার বিরুদ্ধে একাধিক ধর্ষণ মামলা রয়েছে। তার কারণে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।’ তাঁকে গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবি জানান তাঁরা।
আরো পড়ুন: