গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার কমপ্লেক্সের ভেতর হাইসিকিউরিটি কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক কয়েদি ও কেন্দ্রীয় কারাগারে (পার্ট-২) যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এক কয়েদির মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা কারাগারের ভেতর অসুস্থ হয়ে পড়লে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজে নেওয়ার পর গতকাল সোমবার রাতে চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত আকরাম হোসেন (৪০) ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালি থানার মির্জাপুর এলাকার বাসিন্দা। তিনি কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী ছিলেন।
অপরজন হলেন নজরুল ইসলাম ফরাজী। তিনি বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ থানার দানসাগর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পার্ট-২-এ বন্দী ছিলেন।
কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মোহাম্মদ লুৎফর রহমান জানান, আকরাম হোসেন ২০১৭ সালে মধুপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের করা মামলার আসামি ছিলেন আকরাম। পরে ওই মামলায় আদালত তাঁকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন।
২০১৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি এ কারাগারে বন্দী ছিলেন। গতকাল সোমবার রাত ১২টার দিকে তিনি কারাগারের ভেতর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাঁকে প্রথমে কারা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার উন্নতি না হলে তাঁকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। দায়িত্বরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-২-এর জেল সুপার আমিরুল ইসলাম বলেন, নজরুল ইসলাম ফরাজী সাভার থানার একটি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন। তিনি ২০০৩ সাল থেকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে (পার্ট-২) বন্দী ছিলেন।
গত রোববার রাতে তিনি বুকে ব্যথা অনুভব করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে রাতেই তাঁকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে হাসপাতালের সিসিইউ ওয়ার্ডে রাখা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-২-এর জেল সুপার আমিরুল ইসলাম জানান, মরদেহের ময়নাতদন্ত ও অন্যান্য আইনি প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।