ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে প্রাইভেট কার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গেলে স্বামী-স্ত্রীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরেক আরোহী। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার ষোলঘর যাত্রীছাউনি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন আরমান হোসেন (২৫), তাঁর স্ত্রী রোমানা আক্তার রাইসা (২০) ও তাঁদের বন্ধু তানভীর আহমেদ তানজিল (২৫)। তাঁরা ঢাকার বাড্ডা ও মগবাজার এলাকার বাসিন্দা।
হাঁসাড়া হাইওয়ে থানার ওসি মো. আবু নাঈম সিদ্দিকী জানান, বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকার দোহার থেকে স্বামী-স্ত্রীসহ চারজন মিলে প্রাইভেট কার ভাড়া করেন। প্রথমে তাঁরা ঢাকার হাতিরঝিল ঘোরেন। গভীর রাতে মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মাওয়ায় আসেন। সেখানে রাতের খাবার খেয়ে ও ঘোরাঘুরি শেষে সকালে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। পথে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে চালক গাড়ি থামিয়ে একটি ফিলিং স্টেশনে যান। এ সময় চালককে ফাঁকি দিয়ে গাড়ি নিয়ে ছোটেন আরোহীরা। পরে ষোলঘর যাত্রীছাউনির সামনে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কদ্বীপের রেলিংয়ের সঙ্গে ধাক্কা লেগে উল্টে যায় গাড়িটি। এতে তিনজন নিহত হন।
গুরুতর আহত রবিন (২২) নামে অপর এক আরোহীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তিনি পালিয়ে যান। রবিন ঢাকার বাড্ডা এলাকার বাসিন্দা ঠাণ্ডু মিয়ার ছেলে।
প্রাইভেট কারচালক মিন্টু মিয়া বলেন, ‘আমি প্রকৃতির ডাকে ওয়াশরুমে যাওয়ার জন্য ষোলঘর এলাকার একটি ফিলিং স্টেশনের সামনে প্রাইভেট কার থামাই। এ সময় আরোহীরা গাড়ির এসি ছেড়ে রাখার অনুরোধ করেন। এতে প্রাইভেট কার চালু রেখেই ওয়াশরুমে ছুটে যাই। পরে এসে দেখি প্রাইভেট কার নেই। তাৎক্ষণিক আমি কারমালিককে ঘটনা জানাই। তার কিছুক্ষণ পরই মালিক নিজেই দুর্ঘটনার খবর দেন আমাকে।’
শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা দেওয়ান আজাদ হোসেন জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থল থেকে দুজনের লাশ উদ্ধার করে। পরে আহতদের হাসপাতালে পাঠানোর পর আরেকজন মারা যান।