দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় সাক্ষীকে একবার জেরা করার পর পুনরায় জেরা করা যাবে না। এটা মামলার বিচার বিলম্বিত করার একটি কৌশল। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের এ সংক্রান্ত মামলায় এমন পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
আজ রোববার রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়। এতে আপিল বিভাগ বলেছেন, দুদককে না শুনে হাইকোর্টের আদেশে আইনের ব্যত্যয় হয়েছে। কেননা দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের ৩৩ (৫) ধারা অনুযায়ী আদেশ দেওয়ার আগে কমিশনকে শুনতে হবে।
দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বলেন, ‘বিচার বিলম্বিত করার জন্য ৩৪২ ধারায় রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী ফেরদৌস আহমেদকে পুনরায় জেরার করার জন্য আবেদন করেছিলেন খন্দকার মোশাররফ। ওই আবেদন বিচারিক আদালতে খারিজ হয়। এরপর তিনি হাইকোর্টে আপিল করেন। হাইকোর্ট দুর্নীতি দমন কমিশনকে না শুনেই গত ২১ জানুয়ারি আদেশ দেন। যাতে ওই সাক্ষীকে পুনরায় জেরা করার সুযোগ করে দেওয়া হয়।’
খুরশিদ আলম খান আরও বলেন, ‘দুদক হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে। আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ বাতিল করে দেন। এর ফলে মামলাটি যে অবস্থায় আছে সেখান থেকে কার্যক্রম চলবে।’
এর আগে ২০০৮ সালে রমনা থানায় ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে মামলাটি করে দুদক। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত স্বাস্থ্যমন্ত্রী থাকাকালে মোশাররফের বিরুদ্ধে ৯ কোটি ৫৩ লাখ ৯৫ হাজার ৩৮১ টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগ আনা হয় মামলায়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, খন্দকার মোশাররফ হোসেন মন্ত্রী থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত ৮ লাখ ৪ হাজার ১৪২ পাউন্ড যুক্তরাজ্যের লয়েড টিএসবি অফশোর প্রাইভেট ব্যাংকে তার ও স্ত্রী বিলকিস আক্তারের যৌথ অ্যাকাউন্টে জমা করেন। বাংলাদেশি কোনো নাগরিককে বিদেশের কোনো ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলতে হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু খন্দকার মোশাররফ হোসেন তা না করে এই টাকা বিদেশে পাচার করেছেন।