প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বঙ্গবন্ধু পরিবারের রক্ত নিশ্চিহ্ন করে দিতে বিএনপি ও জামাত-শিবির এখনো ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে ১৯ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে প্রত্যেকবারই কোন না কোনভাবে জিয়া পরিবার জড়িত ছিল।
রোববার সকালে বাসাবোর ঢাকা জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ঢাকা জেলা ইউনিট কমান্ডের আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, 'শেখ হাসিনাকে ১৯ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। প্রত্যেকবারই জিয়া পরিবার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এর সঙ্গে জড়িত ছিল। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সময় হাওয়া ভবনে মিটিং হয়েছে। মূল হোতা ছিল তারেক জিয়া। তাঁর বাবা খুন করেছে বঙ্গবন্ধুকে আর সে হত্যা করতে চায় শেখ হাসিনাকে। তাঁদের ষড়যন্ত্র এখনো চলছে।'
১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড কোন ব্যক্তি বা পরিবারের হত্যাকাণ্ড নয় বরং একটি আদর্শকে হত্যার ষড়যন্ত্র ছিল জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, 'ব্যক্তি শেখ মুজিবকে হত্যা করা হয়েছে কিন্তু তার আদর্শকে, দর্শনকে হত্যা করা যায়নি। খুনিদের আশা ব্যর্থ হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মানুষের ভাত-ভোট, স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছেন।'
সকল অপরাধ ও অপরাধীদের বিচার করতে হবে দাবি করে তিনি বলেন, 'সব অপরাধীদের বিচার হতে হবে ৷ আত্মস্বীকৃত খুনিদের বিচার হয়েছে কিন্তু মদদ দাতাদের বিচার হয়নি। মরণোত্তর হলেও অপরাধীদের বিচার হওয়া উচিত।'
এ সময় তিনি সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নেতৃবৃন্দের কাছে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য গৃহীত বিশেষ প্রকল্পসমূহ এবং সংগঠন পরিচালনার দিকনির্দেশনা তুলে ধরেন।
মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য গৃহীত উদ্যোগ ও প্রকল্পসমূহ সম্পর্কে মন্ত্রী জানান, স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ প্রকল্প, মুজিবনগর সিটি প্রকল্প, মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিসৌধ, মুক্তিযোদ্ধাদের কবর সংরক্ষণ প্রকল্প, বীরের কণ্ঠে বীর গাঁথা প্রকল্প, মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন প্রকল্প বীর নিবাস, আশুগঞ্জে মিত্র বাহিনীর স্মৃতিস্তম্ভ, অপারেশন জ্যাকপট, জেলা ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, প্রত্যেক বিভাগে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মিনার তৈরির কাজগুলোর প্রক্রিয়া চলমান আছে।
সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খাজা মিয়া, এ বি এম সুলতান আহমেদ, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমানসহ প্রমুখ।