হোম > সারা দেশ > ঢাকা

পলিথিন বন্ধে সময় চান ব্যবসায়ীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পলিথিন বন্ধে সময় চেয়েছেন এই খাতের ব্যবসায়ীরা। তাদের অভিযোগ, পলিথিনের ব্যবহার বন্ধের যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে, তার কোনোটাই ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে করা হচ্ছে না। হুট করে নেওয়া সিদ্ধান্ত সবার ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। 

আজ সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে প্লাস্টিক ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ আয়োজিত সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক বিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ীরা এ সব কথা বলেন। 

বাংলাদেশ প্লাস্টিক প্যাকেজিং, রোল ম্যানুফ্যাকচারিং ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবু মোতালেব বলেন, ‘বারবার গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানো, বাড়ির মালিকদের ভাড়া বাড়ানো, আগের সরকারের সময়ের চাঁদাবাজি, সরকারের দ্বিমুখী সিদ্ধান্তের ফলে ব্যবসায়ীরা এমনিতেই ভালো অবস্থায় নেই। এর মধ্যে যদি ব্যবসার ওপর নতুন আঘাত আসে, তাহলে সরকারের ট্যাক্স কমে যাবে। ইন্ডাস্ট্রি নতুন করে ক্ষতির মুখে পড়বে, বিদেশি বিনিয়োগ কমে যাবে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘তাই আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে বলতে চাই-তিনি পরিস্থিতি অনুধাবন করবেন। এর আগে যখন প্লাস্টিক বন্ধ হলো, তখন এই খাতের অনেক ব্যবসায়ী পথে বসে গিয়েছিল। ২০০২ সালে পাটকে উৎসাহিত করতে শপিং ব্যাগকে বন্ধ করা হলো। কিন্তু দেখা গেল, আদমজী জুট মিলস বন্ধ হয়ে গেছে। এখনকার উপদেষ্টার আগে থেকেই প্লাস্টিক খাতের ওপর ক্ষোভ ছিল। আমরা আগেও বলেছি, এখনো বলি-বিকল্প চলে আসলে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক বন্ধ হয়ে যাবে।’ 

ব্যবসায়ীরা বলেন, পলিথিনের বিকল্প ব্যবস্থা করে অন্তত ছয় মাস থেকে এক বছর সময় দিয়ে যদি এটা বন্ধের চিন্তা করা হয়, তাহলে বিষয়টা ভালো হবে এবং ব্যবসায়ীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না। আলোচনা না করে যদি সরকারের নেওয়া কোনো সিদ্ধান্ত প্লাস্টিক সেক্টরকে ক্ষতির মুখে ফেলে, তাহলে প্লাস্টিক খাতের ব্যবসায়ীদের রাস্তায় নামা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না। 

লিখিত বক্তব্যে প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এবং প্লাস্টিক ফাউন্ডেশনের সমন্বয়ক সামিম আহমেদ বলেন, ‘যে লক্ষ্যে ২০০২ সালে প্লাস্টিক শপিং ব্যাগ বন্ধ করে দেয়, তা গত ২২ বছরে অর্জন করা সম্ভব হয়নি। সাশ্রয়ী মূল্য, গুণগত মান ও সহজে ব্যবহারযোগ্য শপিং ব্যাগের বিকল্প উৎপাদন ও সরবরাহ সম্ভব হয়নি। পরিবেশ বাঁচাতে হলে রিসাইকেল, রিইউজের পরিমাণ বাড়াতে হবে এবং ব্যবস্থাপনা ঠিক করতে হবে। খাদ্য নিরাপত্তা আইন অনুযায়ী আয়োডাইজড লবণ প্লাস্টিক ছাড়া মোড়কীকরণ সম্ভব নয়। বর্তমান সরকার ভোজ্যতেলের সঙ্গে ভিটামিন-এ যুক্ত করতে চায়, যা প্লাস্টিক কন্টেইনার ছাড়া এটা সম্ভব নয়। তরল দুধ প্লাস্টিক প্যাকেজিং ছাড়া বাজারজাত সম্ভব নয়। এ ছাড়া গাছের চারা, টেক্সটাইল ও জুট প্যাকেজিং-সহ নানা কাজে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক দরকার।’ 

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের তালিকায় এমন কিছু পণ্য আছে, যার সঙ্গে ১৩ লাখ ক্ষুদ্র বিক্রেতা জড়িত। এর মাধ্যমে সরকারের কোষাগারে প্রতি বছর ৪০ হাজার কোটি টাকা জমা হয়। পলিথিন বন্ধ হলে ১৩ লাখ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কায় পড়বেন। 

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, সমুদ্র দূষণের জন্য আমরা দায়ী না। ভারত, নেপাল, চীন থেকে ৫৪টি নদী বাংলাদেশে প্রবাহিত হয়, প্রচুর প্লাস্টিক বর্জ্য নিয়ে আসে। এটা আমাদের নদ, নদী ও সমুদ্রে বর্জ্য সৃষ্টি করেছে। সুতরাং সব বর্জ্যের জন্য বাংলাদেশকে দায়ী করা যুক্তিসংগত নয়।

সাবেক এমপি শাজাহান খানের মেয়ে ও নুরুন্নবী চৌধুরীর স্ত্রীর নামে দুদকের মামলা অনুমোদন

ধর্ষণের মামলায় গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন ছাত্র রিমান্ডে

নির্বাচনের আগে ডিএমপির ৫০ থানায় নতুন ওসি

যন্ত্রপাতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে অনন্ত নিটওয়্যারের এমডিসহ চারজনের বিরুদ্ধে ঠিকাদারের মামলা

বাম দলের যমুনা যাত্রা কর্মসূচিতে পুলিশের লাঠিপেটা, আহত ২০

দলবদ্ধ ধর্ষণ ও ভিডিও করে ব্ল্যাকমেল: গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার

দেশজুড়ে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের দ্বিতীয় দিনের অর্ধদিবস কর্মবিরতি

কর্মচারীদের আন্দোলনে যাওয়া রাষ্ট্রের ব্যর্থতা: রাজেকুজ্জামান রতন

পরকীয়ার সন্দেহ, ডেমরায় স্ত্রী ও শাশুড়িকে যুবকের ছুরিকাঘাত

ডাক বিভাগের ফ্রান্সে রপ্তানির কার্গোতে ইয়াবা, ধরা পড়ল শাহজালাল বিমানবন্দরে