চাঁদপুরের লক্ষ্মীপুর মডেল থানার ইউপি চেয়ারম্যান মো. সেলিম খানের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ রোববার দুপুরে সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে এ তথ্য জানান দুদকের সচিব মাহবুব হোসেন।
দুদকের সচিব মাহবুব হোসেন ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, চেয়ারম্যান মো. সেলিম খানের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুদক। তাঁর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।
মামলার এজাহারে সেলিম খানের বিরুদ্ধে সাড়ে ৩৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগ আনা হয়।
এর আগে গত ৪ এপ্রিল মেঘনার ডুবোচর থেকে বালু উত্তোলনের অনুমতি দিয়ে হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। সেই সঙ্গে শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠানো হয়।
২০১৯ সালে গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগে চাঁদপুরে অভিযান চালায় দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম। সেখানে গৃহহীনদের কাছ থেকে প্রতিটি ঘর বরাদ্দ বাবদ ২০ হাজার টাকা করে ঘুষ নেওয়ার প্রাথমিক সত্যতা পায় দুদক। সে বছরেরই ৩১ অক্টোবর কমিশন সেলিম খানের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়।
২০২০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর সেলিম খান, তাঁর স্ত্রী শাহানা বেগম ও তাঁদের ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের সম্পদ বিবরণী দাখিল করার নির্দেশ দেয় দুদক। ওই তলবের পরিপ্রেক্ষিতে সেলিম খান দুদকে যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন, সেখানে তাঁর মোট আয় দেখানো হয় ৬২ লাখ টাকা।
তবে সেলিমের সম্পদের অনুসন্ধান ও তদন্তসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, দুদকের কাছে সেলিমের যে সম্পদের তথ্য রয়েছে, তা প্রায় ১৫ কোটি টাকার বেশি। এ ছাড়া নামে-বেনামে তাঁর বেশ কিছু সম্পদের তথ্যও রয়েছে দুদকের কাছে। সেসবের মূল্য এখন পর্যন্ত নির্ণয় করতে পারেনি সংস্থাটি।
এই সম্পর্কিত আরও পড়ুন: