গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের এক দিন পর দুই কাউন্সিলর পদপ্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন সমর্থক আহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার রাত ১০টার দিকে নগরীর ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডের বড় দেওড়া পুরোনো মসজিদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে টঙ্গীর পশ্চিম থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের উদ্ধার করে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্তকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনি। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি।’
এ ঘটনায় আহতদের মধ্যে পরাজিত কাউন্সিলর পদপ্রার্থী সেলিম হোসেনের সমর্থকেরা হলেন শাহজালাল মোল্লা (১৯), আজাহার (২৬), হেলাল উদ্দিন (৩২), সাইফুল ইসলাম শাগর (২৫), নিয়ামত (২৪), তানভির (২১), মর্জিনা আক্তার (৩১) ও আলমাস (৩৩)।
বিজয়ী কাউন্সিলর সোলেমান হায়দারের সমর্থকদের মধ্যে আহতরা হলেন রাজিব হায়দার সাদিম (৩২), আজিম হায়দার আদিম (৩৫), ঝলক হায়দার (৩০), বিজয় হায়দার (২৮) ও আরিফ মণ্ডল (২৮)।
খবর পেয়ে সেলিম হোসেনের অপর সমর্থকেরা এগিয়ে এলে তাঁদেরও মারধর করা হয়। একপর্যায়ে সেলিম হোসেন ও তাঁর সমর্থক মামুন, হারুন ও মানিকসহ বেশ কয়েকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ওই এলাকার পুরোনো মসজিদের সামনে সোলেমান হায়দারের সমর্থকদের ওপর পাল্টা হামলা চালায়। এ সময় সাদিম, আদিম, ঝলক, বিজয় ও আরিফ আহত হন।
এ নিয়ে জানতে চাইলে পরাজিত কাউন্সিল পদপ্রার্থী সেলিম হোসেন বলেন, ‘আমার লোকেদের মারধর করে আহত করা হয়েছে। আমি এ নিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করব।’
সদ্য বিজয়ী কাউন্সিল পদপ্রার্থী সোলেমান হায়দার বলেন, ‘এ বিষয়ে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা বলেছি। আহতরা সুস্থ হয়ে ফিরলেই সালিসের মাধ্যমে তা সমাধান করা হবে।’