মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় যাত্রীবাহী বাস ও মালবাহী ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন নারীসহ অন্তত ১২ বাসযাত্রী।
আজ সোমবার (৭ জুলাই) বেলা পৌনে ১টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া অংশের আনারপুরা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তি বাসের হেলপার। তাঁর নাম আজগর আলী (২৫)। তিনি লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর উপজেলার চর-ফলকন গ্রামের মৃত আলাউদ্দিনের ছেলে।
আহত বক্তিদের মধ্যে তাৎক্ষণিকভাবে ১১ জনের নাম জানা গেছে। তাঁরা হলেন হাসান (২৬), শাহ জালাল (৬০), আহসান উল্লাহ (৫৫), জাহিদ (৩১), শায়মন (১৪), শাহীন (৩৫), সোহাগ (৩০), সগিরুল (৫০), আবু সাইদ (৫৫), লিমন (২৪) ও হালিমা (৫২)।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বেলা পৌনে ১টার দিকে একটি মালবাহী ট্রাক আনারপুরা বাসস্ট্যান্ড এলাকা দিয়ে ইউটার্ন নেওয়ার সময় চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে সেটি রোড ডিভাইডারে ধাক্কা দিয়ে উল্টে যায়। এ সময় নোয়াখালী থেকে ঢাকাগামী দ্রুতগতির জোনাকি পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের চালক ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষ এড়াতে চেষ্টা করলে বাসটি রাস্তার পাশের গাছে ধাক্কা দেয়। এতে বাসটির সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায় এবং ভেতরে আটকা পড়েন কয়েকজন। এ ঘটনায় বাসের হেলপার আজগর আলী ঘটনাস্থলেই মারা যান। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায় স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।
রিফাত হোসেন নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, এই দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সাদ করিম বলেন, ‘আহত ৮ জনকে আমাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাদের মধ্যে তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা পাঠিয়েছি। বাকিদের এই হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’
এ বিষয়ে সম্পর্কে গজারিয়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. শওকত হোসেন বলেন, একজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। লাশ বর্তমানে পুলিশ ফাঁড়িতে রয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত গাড়িগুলো মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, যান চলাচল স্বাভাবিক। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।