ঢাকা শহরে অবৈধ টাকার জোরে সরকারি-বেসরকারি কমিউনিটি সেন্টার, হল ও ক্লাবে বাবুর্চিদের সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। যারা এটা করছে, তারা প্রকৃতপক্ষে বাবুর্চি নয়। এই সিন্ডিকেট ভোক্তাদের জিম্মি করে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে ফায়দা লুটছে বলে অভিযোগ তুলেছে বাংলাদেশ বাবুর্চি ঐক্য পরিষদ।
আজ সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে এ সব অভিযোগ করেন তারা। মানববন্ধনে সরকারি, বেসরকারি সমস্ত কমিউনিটি সেন্টার, হল ও ক্লাবের বাবুর্চি সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে সকলের জন্য উন্মুক্ত করার দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে বাবুর্চি ঐক্য পরিষদের অস্থায়ী সভাপতি মোহাম্মদ মোতালিব বলেন, ‘যারা অবৈধ টাকার জোরে সিন্ডিকেট তৈরি করে, তারা প্রকৃতপক্ষে বাবুর্চি না। তাদের ওই টাকার উৎস কী? প্রকৃত বাবুর্চিরা চল্লিশ-পঞ্চাশ বছর কাজ করে ১০ লাখ টাকা জোগাড় করতে পারে না। অথচ তারা কোটি কোটি টাকা কোথায় পেল, এর উৎস তদন্ত করতে হবে।’
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সোহরাব বলেন, ‘ভোক্তাদের স্বাধীনতা দিতে হবে, যাতে তারা পছন্দ মতো বাবুর্চি নিয়ে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে। নামে-বেনামে অবৈধ ক্যাটারিং ব্যবসায়ী কমিউনিটি সেন্টার, হল ও ক্লাবের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসূত্রে এ সব কাজ করে প্রকৃত বাবুর্চিদের পেটে লাথি মারছে।’
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ বাবুর্চি ঐক্য পরিষদের প্রায় পঞ্চাশ-ষাট হাজার বাবুর্চি কর্মকর্তা, কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা মানবেতর জীবনযাপন করছে। প্রকৃত বাবুর্চি এবং এই শিল্প রক্ষার্থে সিন্ডিকেট ভেঙে সকল কনভেনশন সেন্টারকে উন্মুক্ত করে দিতে হবে।