সারা দিন কুয়াশাচ্ছন্ন, সূর্যের দেখা নেই আকাশে। পৌষের বিদায়ক্ষণে এমন আবহাওয়া দমিয়ে রাখতে পারেনি পুরান ঢাকাবাসীদের। প্রতিবারের মতো আজ শুক্রবার সাকরাইনে রঙিন হয়েছে পুরান ঢাকা। এবার নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সন্ধ্যা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বর্ণিল ফানুশ ও আতশবাজিতে ছেয়ে যায় পুরান ঢাকার আকাশ।
সাকরাইন উৎসবকে কেন্দ্র করে আজ শুক্রবার সকাল থেকেই নানা আকারের অসংখ্য ঘুড়ি মেঘাচ্ছন্ন আকাশকেই রঙিন করে তুলেছিল। বাসায় বাসায় বসেছে পিঠাপুলির আসর। এ ছাড়া জমকালো আলোকসজ্জায় সজ্জিত বাড়ি-ঘরের ছাদে আগুন নিয়ে খেলা করতে দেখা গেছে তরুণদের।
ঐতিহ্যবাহী এই উৎসব ঘুড়ি উৎসব নামে পরিচিত হলেও বর্তমানে সাকরাইন উৎসবে যোগ হয়েছে আতশবাজি, মুখে কেরোসিন নিয়ে মুখের সামনে আগুনের মশাল ধরে আগুন খেলা। যুক্ত হয়েছে ডিজে নাচ, প্রজেক্টর দিয়ে আলোর খেলা, সাউন্ড সিস্টেমসহ আধুনিক আরও অনুষঙ্গ।
এবারের সাকরাইনের সপ্তাহখানেক আগে থেকে ছিল প্রস্তুতি। সকাল থেকেই অনেক পর্যটক ভিড় জমায় এখানে। নতুন ঢাকাসহ নানা এলাকা থেকে মানুষ আসে পুরান ঢাকায়।
এবার ওমিক্রনের জন্য বিধিনিষেধ থাকলেও পুরান ঢাকায় বাসা-বাড়িগুলোর ছাদে, অলিগলিতে প্রচুর ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। কাউকে করোনার বিধিনিষেধ মানতে দেখা যায়নি।
নতুন ঢাকা থেকে ঘুরতে আসা মুজিব বলেন, ‘প্রতি বছর আমরা সাকরাইন উৎসব দেখতে পুরান ঢাকায় আসি। সারা দিন ঘুড়ি ওড়ানো, সন্ধ্যায় আতশবাজি ফোটানো ও ডিজে গানের তালে নাচতে খুবই ভালো লাগে। তাই প্রতি বছর এই দিনটিতে ছুটে আসি।’