হোম > সারা দেশ > ঢাকা

হলের রুমে ঢুকে ঢাবি শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ

ঢাবি প্রতিনিধি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলের এক শিক্ষার্থী রুমে ঢুকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। আখলাকুজ্জামান অনিক নামের ওই ভুক্তভোগী থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী। আহত অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। 

আজ শনিবার সকালে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার বিষয়ে এরই মধ্যে একটি লিখিত অভিযোগ হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আব্দুল বাছির বরাবর জমা দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। 

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, ১০ থেকে ১২ জন তাঁর ওপর হামলা করেছেন। তবে প্রাথমিকভাবে তিনি চারজনের নাম জানিয়েছেন। এরা হলেন-সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের মাসফিউর রহমান, অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের সফিউল্লাহ সুমন (পিটার), ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সাব্বির আল হাসান, সাংবাদিকতা বিভাগের নাইমুর রশিদ নাঈম। এরা তিনজনই ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং হল ছাত্রলীগ সভাপতি সজিবুর রহমান সজীবের অনুসারী। সজীব ছাত্রলীগের ঢাবি শাখা সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের অনুসারী। 

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তাঁর অভিযোগ পত্রে লিখেছেন, ‘আমি ঘুমের মধ্যে ছিলাম। এমন সময় দরজায় নক করে। আমি দরজা খোলার সাথে সাথে আকস্মিকভাবে আনুমানিক ১০ থেকে ১২ জন আমার কক্ষে ঢুকে অতর্কিত হামলা করে। আমি হতভম্ব হয়ে যাই। এসময় তাঁরা স্ট্যাম্প দিয়ে মেরে আমার মাথা ফাটিয়ে দেয় এবং শরীরের অন্যান্য জায়গায় এলোপাতাড়ি আঘাত করে। যার ফলে গুরুতর জখম হই।’ 

অনিক বলেন, ‘আহত অবস্থায় আমার বিভাগের ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষকদের সহযোগিতায় ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা নেই। হামলায় ১০ থেকে ১২ জন অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে শুধু চারজনকে চিনতে পারি। এদিকে আমার স্নাতকোত্তর ২য় সেমিস্টারের অভিনয় কোর্সের পরীক্ষা আজ সন্ধ্যায়।’ 

অভিযুক্ত নাইমুর রশিদ নাইম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আমাদের এক জুনিয়র (মাসফিউর রহমান) তাঁর বান্ধবী নিয়ে গিয়েছিল। সেখানে অনিক তাঁদের ভিডিও ধারণ করে। পরবর্তীতে ভিডিও ডিলেট করতে বলা হলেও ডিলেট করেনি। উল্টো আমাদের জুনিয়রের গায়ে আঘাত করে। পরে আমাদের ওই জুনিয়র ২য় বর্ষ ও ১ম বর্ষের বেশ কয়েকজনকে নিয়ে অনিকের রুমে গিয়ে হামলা করে। আমরা ওই ঘটনাটি সমাধান করতে গিয়েছিলাম।’ 

অভিযুক্ত সফিউল্লাহ সুমন বলেন, ‘পূর্ব শত্রুতার জেরে আমাদের জুনিয়ররা হামলা করে, আমরা ঘটনাটি মিটমাট করতে যাই। আমি কারও ওপর হামলা করিনি।’ 

অন্যান্য অভিযুক্ত মাসফিউর রহমান ও সাব্বির আল হাসানকে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তাঁরা রিসিভ করেননি। 

এ বিষয়ে হল ছাত্রলীগ সভাপতি সজিবুর রহমান সজীব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে হল প্রশাসন তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেবে। এক্ষেত্রে আমাদের পূর্ণ সহযোগিতা থাকবে। আমরা এ রকম সন্ত্রাসী কোন কর্মকাণ্ডকে ছাড় দিবো না।’ 

হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আব্দুল বাছির আজকের পত্রিকাকে জানান, এ বিষয়ে আমি শুনেছি। ইতিমধ্যে দায়িত্বরত শিক্ষক জাহিদুল ইসলামকে সেখানে পাঠিয়েছি। তিনি সার্বিক বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছেন। প্রাথমিকভাবে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়েছি। তবে এখনো লিখিত কোনো অভিযোগ আসেনি। লিখিত অভিযোগ হাতে পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলায় র‍্যাকের নিন্দা

হাদির জানাজা ঘিরে যান চলাচল নিয়ে ডিএমপির নির্দেশনা

তোপখানায় উদীচীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন

হাদির মরদেহ জাতীয় হৃদ্‌রোগ ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়েছে, রাখা হবে হিমঘরে

হাদির জানাজা আগামীকাল বেলা আড়াইটায়, জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায়

‎হাদি হত্যার বিচার দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল

বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের নতুন কমিটি

প্রথম আলোর কার্যালয়ের সামনে কর্মীদের মানববন্ধন

হাদির হত্যাকাণ্ডকে ‘ব্যবহার করে’ উচ্ছৃঙ্খলতার নিন্দা গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শন আইজিপির