রাজধানীর পল্লবীতে আলোচিত সাহিনুদ্দিন হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরও দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর লালবাগ ও গাজীপুরে অভিযান চালিয়ে ওই দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার দুজন হলেন তুহিন ও হারুন অর রশীদ। এ নিয়ে সাহিনুদ্দিন হত্যার ঘটনায় মোট ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো। তাঁদের মধ্যে দুজন ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। কারাগারে আছেন ১৪ জন।
মামলার তদন্ত তদারক কর্মকর্তা ডিবির মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার মানস কুমার পোদ্দার জানান, তুহিন ও হারুনকে আটকের পর সাহিনুদ্দিন হত্যা মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাঁদের পাঁচ দিন করে রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ হত্যা মামলায় ছয়জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ১৬ মে পল্লবীর বুড়িরটেকের বাসিন্দা সাহিনুদ্দিনকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে তার সন্তানের সামনে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরদিন এ ঘটনায় সাহিনুদ্দিনের মা আকলিমা বেগম পল্লবী থানায় ২০ জনের নামে মামলা করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান এম এ আউয়ালকে।
সাহিনুদ্দিনের মা আকলিমা বেগমের অভিযোগ, পল্লবীর সেকশন-১২ বুড়িরটেকের আলীনগর আবাসিক এলাকার হ্যাভেলি প্রোপার্টিজ ডেভেলপার লিমিটেডের এমডি আউয়ালের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা সাহিনুদ্দিনকে হত্যা করেছে।
তাঁর অভিযোগ, আলীনগর এলাকায় সাহিনুদ্দিনদের আনুমানিক ৫ কোটি টাকা মূল্যের ১০ একর জমি জবরদখলে বাধা দেওয়ায় খুন হতে হয়। ১৯ মে হত্যা মামলাটি ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়।