দুবাই প্রবাসীর কাছ থেকে ডিবি পরিচয়ে ছিনতাইয়ের ঘটনায় ভুয়া ডিবি পুলিশ শহিদুল ইসলামকে উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকালে তার কাছ থেকে ছিনতাইকৃত দুটি স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়েছে।
ডিএমপির উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম আজ বৃহস্পতিবার আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
ওসি জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রবাসীর কাছ থেকে স্বর্ণের বার ছিনতাইয়ের ঘটনায় তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় উত্তরার আব্দুল্লাহপুর থেকে গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় পলাতক শহিদুল ইসলামকে দুটি স্বর্ণের বারসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
গ্রেপ্তার শহিদুল ইসলাম হলেন—চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার কড়িয়া গ্রামের মৃত আলী আজম ও সুফিয়া বেগম দম্পতির ছেলে। তিনি সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট বলে জানিয়েছেন ওসি মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম। র্যাব সদর দপ্তর, ঢাকা সেনানিবাসেও কর্মরত ছিলেন।
এর আগে উত্তরার জসিম উদ্দিনের ব্র্যাক ব্যাংকের আন্ডারগ্রাউন্ড থেকে গত সোমবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে দুবাই প্রবাসী হাসানের কাছ থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে দুটি স্বর্ণের বার ছিনতাই করা হয়। ভুয়া ডিবি বলে চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। এ সময় শহিদুল ইসলাম (৩৫) ও দেওয়ান আলী (৪২) পালিয়ে গেলেও উপস্থিত জনতার হাতে ধরা পড়েন নূরে সিদ্দিকি খোদা। তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়।
নূরে সিদ্দিকি খোদা হলেন—পুলিশের চাকরিচ্যুত উপপরিদর্শক (এসআই)। চাকরিচ্যুতের আগে তিনি বর্তমান উত্তরা পূর্ব থানা এবং আগের উত্তরা মডেল থানায় এসআই হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি নেত্রকোনা জেলার আটপাড়া উপজেলার টেঙ্গা গ্রামের ইয়াকুব এয়ার খানের ছেলে।
ওসি জহিরুল ইসলাম বলেন, স্বর্ণের বার ছিনতাইয়ের ঘটনায় ভুক্তভোগী প্রবাসী বাদী হয়ে ওই দিনই উত্তরা পূর্ব থানায় একটি মামলা করেন। পরে ওই মামলায় ছিনতাইয়ের সময় গ্রেপ্তার হওয়া পুলিশের চাকরিচ্যুত এসআই নূরে সিদ্দিকি খোদাকে দুই দিনের রিমান্ডে এনে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
ভুক্তভোগী দুবাই প্রবাসী হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুবাই থেকে ১৩ লাখ ৪৪ হাজার টাকা মূল্যের ২০০ গ্রাম ওজনের দুটি স্বর্ণের বার বৈধভাবে নিয়ে বাংলাদেশে আসি। বিমানবন্দরে নামার পর এসব বার বিক্রির চেষ্টাকালে তিনজন ছিনতাইকারী ভুয়া ডিবি পুলিশ সেজে আমার কাছ থেকে বারগুলো ছিনিয়ে নেয়।’