নারায়ণগঞ্জ বন্দরে পুলিশের ভয়ে ডোবায় ঝাঁপ দেওয়ার পর নিলয় আহমেদ বাবু (৩০) নামে এক যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় বন্দর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক রওশন ফেরদৌসকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে বন্দরের বাগবাড়ি এলাকা থেকে বাবুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত বাবু বন্দরের বাগবাড়ি এলাকার শোভন মিয়ার ছেলে। তিনি স্থানীয় একটি গেঞ্জি কারখানা পরিচালনা করতেন।
জানা যায়, গত ১ মে একজন নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে বাবুকে ধরতে যায় পুলিশ। সে সময় পুলিশের ভয়ে একতলা বাড়ি থেকে ডোবায় ঝাঁপ দেন নিলয়। এরপর থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন। বুধবার স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে দমকল কর্মীরা।
নিহত বাবুর স্বজনেরা অভিযোগ করে বলছে, ‘কয়েক দিন আগে স্থানীয় রেষারেষির জের ধরে হাসিনা বেগম নামে এক নারী তাঁর বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দেয়। এরই জের ধরে এসআই রওশন বাবুকে ধরতে এসে ধাওয়া দেয়। এ সময় বাবু ভয়ে একতালা বাড়ির ওপর থেকে ডোবায় ঝাঁপ দেয়। তাকে ধরতে না পেরে ওপর থেকে ঢিল ছুড়ে মারে এসআই। এরপর থেকেই বাবু নিখোঁজ ছিল। বুধবার সকালে ডোবায় দুর্গন্ধ পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। তখনই তার লাশ দেখতে পাই আমরা।’
এদিকে খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধারে এসে রোষানলে পরে বন্দর থানা-পুলিশ। নিহতের স্বজনেরাসহ স্থানীয়রা অভিযুক্ত এসআই এবং হাসিনা বেগমের বিচারের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে ঘটনাস্থলের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, ‘আমরা বাবু নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছি। ভুক্তভোগীর পরিবার অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে এসআই রওশন ফেরদৌসকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এবং ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে আটক করেছি আমরা।’