ঢাকা: চূড়ান্ত বোঝাপড়া হলে চীন থেকে চার থেকে পাঁচ কোটি ডোজ টিকা কেনার পরিকাল্পনা করছে সরকার। এরই মধ্যে দেশটিকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ। সাড়া পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে সরকার।
আজ মঙ্গলবার (১১ মে) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় নেপালকে করোনা চিকিৎসার ওষুধ ও সরঞ্জাম হস্তান্তরকালে একথা জানান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
চুক্তি হলে চলতি বছরেই সেই টিকা দেশে পৌঁছবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই ৪–৫ কোটি টিকা পেতে আমরা চীনকে বিশেষ অনুরোধ করেছি।
তিনি বলেন, আগামীকাল চীনের পাঁচ লাখ টিকা দেশে পৌঁছবে। দ্বিতীয় ডোজ যাতে নিশ্চিত করা যায়, সেভাবে হাতে রেখেই এই টিকা দেওয়া হবে।
এদিকে চীন সরকারের দেওয়া উপহারের পাঁচ লাখ টিকা আনতে আজ সকাল ৮টা ১২ মিনিটে বিমান বাহিনীর একটি সি–১৩০জে উড়োজাহাজ দেশটির উদ্দেশে যাত্রা করেছে। আগামীকাল বুধবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে এই টিকা ঢাকায় পৌঁছনোর কথা।
ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের তুলনায় চীনের টিকায় চারগুণ বেশি দাম গুণতে হবে বাংলাদেশকে। তাই, এতদিন টিকা নেওয়া হবে কি–না এই সংশয়ে ভুগছিল সরকার। গত ফেব্রুয়ারিতেও দেশটি বাংলাদেশকে সিনোভ্যাকের টিকা দিতে চেয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সাড়া না পাওয়ায় আর এগোয়নি তারা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্যমতে, দেশে এখন পর্যন্ত দুই ডোজ মিলে ৯৪ লাখের বেশি টিকা দেওয়া হয়েছে। হাতে আছে মাত্র ৮ লাখের কিছু বেশি টিকা। দ্বিতীয় ডোজের জন্য ঘাটতি প্রায় ১৪ লাখ টিকার। যা পেতে সেরাম, কোভ্যাক্স এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ব্যবহারকারী বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করছে সরকার। তবে এখন পর্যন্ত সুখবর মেলেনি।
চীনের টিকা কারা পাবেন এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রথম ডোজের জন্য যারা নিবন্ধন করেছেন কিন্তু টিকা পাননি তারাই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই টিকা পাবেন।
আরও পড়ুন: