লন্ডনে ব্যবসা ও সম্পদ থাকার কথা স্বীকার করেছেন সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। তবে বিদেশে সম্পদ করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে কোনো টাকা নেননি বলে দাবি করেছেন তিনি।
আজ শনিবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাইফুজ্জামান চৌধুরী এ দাবি করেন।
চট্টগ্রাম-১৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান চৌধুরী জানান, তাঁর বাবা ১৯৬৭ সাল থেকে লন্ডনে ব্যবসা করেছেন। তিনিও যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করে সেখানে ব্যবসা করেছেন। পরে সেখান থেকে তিনি লন্ডনে ব্যবসা সম্প্রসারণ করেছেন।
সাইফুজ্জামান বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি ছাড়া দেশের বাইরে টাকা নেওয়ার কোনো সিস্টেম নেই। আমি বাংলাদেশ থেকে বাইরে কোনো টাকা নিইনি। দেশ থেকে টাকা নেওয়ার তো প্রশ্নেই আসে না। আমার ক্যারিয়ারটাই হলো ব্যবসায়ী ক্যারিয়ার। আমার ব্যবসায়ী ক্যারিয়ার ৩০ বছরেরও বেশি। আমার বাবার বিদেশের ব্যবসা প্রায় ৫০ বছরেরও বেশি।’
নির্বাচনী হলফনামায় বিদেশে সম্পদের বিবরণ না থাকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি হলফনামায় কোনো তথ্য গোপন করিনি। বাংলাদেশে নির্বাচনকালীন যে হলফনামা করতে হয়, সেখানে ট্যাক্স রিটার্নের সঙ্গে মিল রেখে হলফনামা করতে হয়। আমি আমার হলফনামাটি অনেকবার এক্সপার্ট দিয়ে চেক করিয়েছি। বিদেশি সম্পত্তি উল্লেখ করতে হবে, হলফনামায় এ রকম কোনো কলাম নেই। এ জন্য আমি হলফনামায় কোনো সময় বিদেশি সম্পত্তির কোনো তথ্য দিইনি। আমি আমার বিদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য এবং বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য একত্র করি নাই।’
বিদেশে থাকা সম্পদেরও যথাযথ হিসাব রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিদেশে আমার সম্পদের আলাদা আয়কর নথি আছে। আর বিদেশে যে সম্পদ আছে, এর পেছনে ব্যাংকঋণ আছে।’
সাইফুজ্জামান আরও বলেন, ‘করোনা মহামারির সময় লন্ডনে বাড়ির দাম পড়ে যায়। ব্যাংক ঋণের সুদও কমে যায়। সে সময় আমি ঝুঁকি নিয়ে লাভবান হয়েছি।’
মন্ত্রী থাকা অবস্থায় তাঁর মন্ত্রণালয়ে এক টাকার দুর্নীতিও হয়নি বলে দাবি করে তিনি বলেন, ‘সুশীল ও সাংবাদিক সমাজের প্রতিনিধিসহ সরকারের উচ্চ মহলের লোক দিয়ে কমিটি করা হোক। আমি চ্যালেঞ্জ নিয়ে বলছি, ওই কমিটি যদি আমার এক টাকার দুর্নীতি পায়, তাহলে আমি সংসদ থেকে পদত্যাগ করব।’