যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কথিত উপদেষ্টা মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফীকে (মিয়া আরেফী) সাজিয়ে আনার অভিযোগে গ্রেপ্তার অবসরপ্রাপ্ত লে. জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন রশিদুল আলম কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ঢাকার আদালতের প্রসিকিউশন দপ্তরের পল্টন থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই শাহ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বিকেলে সারওয়ার্দীকে আট দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক জামাল উদ্দিন মীর আসামি সারওয়ার্দীকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অন্যদিকে আসামিপক্ষে জামিনের আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী। শুনানি শেষে আদালত কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে ১ নভেম্বর সারওয়ার্দীকে আট দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। আগের দিন তাঁকে সাভার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২৯ অক্টোবর রাতে রাজধানীর পল্টন থানায় বাদী হয়ে মামলাটি করেন গোপালগঞ্জের বাসিন্দা মহিউদ্দিন শিকদার। মামলায় সারওয়ার্দী ছাড়াও বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন এবং মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফী ওরফে মিয়া আরেফীকে আসামি করা হয় মামলায়।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, শনিবার (২৮ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিক্ষোভ থেকে বিএনপি নেতা-কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ কর্মীরা কাকরাইল মোড় থেকে আরামবাগ পর্যন্ত পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। বিএনপি নেতা-কর্মীরা প্রধান বিচারপতির সরকারি বাসভবন, সরকারি স্থাপনা ও সরকারি গাড়িসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ করে।
সংঘর্ষের ফলে পুলিশের ৪১ জন আহত ও একজন সদস্য নিহত হন। একপর্যায়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা বেলা ৩টার দিকে মহাসমাবেশ স্থগিত ঘোষণা করেন। বিএনপির এই কর্মকাণ্ডের পরবর্তী সময়ে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শনিবার সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে অন্তত ২০ জন নেতা-কর্মী বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমের সামনে উপস্থিত হন। তখন ১ নম্বর আসামি মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফী ওরফে মিয়া আরেফী নিজেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা হিসেবে পরিচয় দেন। উপদেষ্টা পরিচয় দিয়ে আরেফী জাতির সঙ্গে প্রতারণা করেন।
এর আগে, ২৮ অক্টোবর বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয়ে বিএনপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফী। গত রোববার বিমানবন্দর থেকে তাঁকে আটক করে ডিবির হাতে তুলে দেয় ইমিগ্রেশন পুলিশ। পরদিন তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর তাঁর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়।