জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়েছে। পুলিশ শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন।
দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় সাংবাদিকসহ ৫০ জন আহত হয়েছেন। আজ বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে জাবি মেডিকেল সেন্টারে প্রায় ১০ শিক্ষার্থীকে চিকিৎসা নিতে দেখা গেছে। জাবি মেডিকেল সেন্টার থেকে আরও বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে পুলিশি পাহারায় জাবি ভিসিসহ সিন্ডিকেট সদস্যরা প্রশাসনিক ভবন থেকে বের হয়ে নিরাপদে ক্যাম্পাস থেকে সরে যান। পরে ক্যাম্পাস ত্যাগ করা শুরু করে পুলিশ। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সব পুলিশ সদস্য ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে যায়। পুলিশ বের হওয়ার পর র্যাবের ৭টি দল টহল দিতে দেখা যায়।
উপস্থিত সংবাদকর্মীরা জানিয়েছেন, সন্ধ্যার দিকে মুরাদ চত্বরে পুলিশের মারধরের শিকার হয়েছেন প্রথম আলোর জাবি প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মামুন।
আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, তিনি ৩৫ জনকে চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে চিকিৎসা সেবা নিতে দেখেছেন। তবে এই সংখ্যা আরও বেশি। তিনি ছাড়াও আরও একজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন।
মো. আসাদুজ্জামান আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে যে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে আমাদের ধারণা শিক্ষার্থীরা তা করতে পারে না। বহিরাগতরা এসব থাকতে পারে।’