রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় এক তরুণকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পর তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
মৃত নুর আলম (২১) মাদারীপুরের শিবচরের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। পরিবারের সঙ্গে কামরাঙ্গীরচরের রসুলপুরে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। চার ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট এই তরুণ বাবার সঙ্গে ফলের ব্যবসা করতেন।
তাঁর মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে বলে হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানিয়েছেন। তবে এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলার খবর পাওয়া যায়নি।
তাঁকে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসার পর শুক্রবার বেলা ১টার দিকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতালে নুর আলমের মা ফাতেমা আক্তার সাংবাদিকদের জানান, শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে হাজারীবাগে ফলের আড়তে বাবা ও মায়ের কাছে যান নুর আলম। কিছুক্ষণ পর চাবি নিয়ে বাসায় ফেরেন। তিনি বাসায় ফিরে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ পান। তখন দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখেন, তার ছেলে গলায় চাদর পেঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
ফাতেমা আক্তার বলেন, ‘আত্মহত্যা’ করার কোনো কারণ নেই। নুর কোনো কাজ করতে চাইতেন না। এ নিয়ে মাঝেমধ্যে তাঁকে একটু বকাঝকা করতেন।