সেপ্টেম্বরে থেকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রত্যেক ওয়ার্ডে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে হাজিরা চালু হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম। আজ শনিবার (২১ আগস্ট) রাজধানীর কল্যাণপুর এলাকায় ‘দশটায় ১০ মিনিট প্রতি শনিবার, নিজ নিজ বাসাবাড়ি করি পরিষ্কার’ কর্মসূচিতে গিয়ে মেয়র এ কথা বলেন।
মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘মশক নিধন কর্মসূচিকে আরও গতিশীল করতে বিভিন্ন উদ্যোগ হাতে নেওয়া হচ্ছে। সকল সুপারভাইজার ও কর্মকর্তাদের নিয়ে সেমিনার করতে যাচ্ছি। মাঠ পর্যায়ে মশক কর্মীদের নিয়ে দরবার করবো। প্রত্যেক অঞ্চলে অঞ্চলে কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। কর্মীরা তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে সেপ্টেম্বর থেকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে হাজিরা দিতে পারবে।’
মেয়র আতিকুল ইসলাম এ সময় এডিস মশার লার্ভার খোঁজে কল্যাণপুরের বিভিন্ন বাসা বাড়ির ছাদে যান, খোঁজ নেন ছাদের টবে পানি জমে আছে কিনা।
ডিএনসিসির মেয়র বলেন, ‘আমরা আজকে ১০–১৫টা বাড়ির ছাদে গিয়েছি। মাত্র একটা বাড়ির ছাদে জমা পানিতে লার্ভা পেয়েছি। আমরা সামাজিক আন্দোলন শুরু করেছি। কর্মসূচি দিয়ে আমরা কিন্তু ঘরে বসে নেই। এর সুফল নগরবাসী পাচ্ছে। আমি মনে করি এই আন্দোলনের ডেঙ্গু রোগের হার অনেক কমে এসেছে। আরও বেশি নিয়ন্ত্রণ হবে, যখন সব মানুষ এগিয়ে আসবে। সবাইকে নিজ নিজ জায়গা থেকে এগিয়ে আসতে হবে।’
সামনে কিউলেস মশার আশঙ্কার কথা জানিয়ে আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঢাকা শহরের অনেক খালি জায়গা আছে, প্রত্যেক আঞ্চলিক কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছি খালি জায়গা, জলাশয়ের তালিকা করার জন্য, সামনে কিন্তু কিউলেস মশা আসছে। খালি জমি ও জলাশয় যাদের আছে তাদের আমরা চিঠি দেব, তাদের দায়িত্ব এটা পরিষ্কার করা। আমরা কিউলেস মশা বিষয়ে আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছি। শহরকে যত বেশি পরিষ্কার রাখতে পারব, মশা তত বেশি নিয়ন্ত্রণে থাকবে।’