কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করছেন। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাজলা মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারের টোল প্লাজার সামনে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেয়। বেলা ৩টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অবরোধ চলছিল।
অবরোধ ও বিক্ষোভে অংশ নেন এই এলাকার বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা। মিছিলে মিছিলে মুখরিত হয়ে উঠছে গোটা এলাকা।
অবরোধকারী শিক্ষার্থীদের কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে রাস্তায় বসে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়। এ সময় শিক্ষার্থীদের হাতে লাঠি, বাঁশ ও ইট পাটকেল দেখা যায়। বৃষ্টির কারণে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি একটা পর্যায়ে কমে গেলেও এখন তা বেড়েছে। শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সকল ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সৃষ্টি হয়েছে দীর্ঘ যানজটের। অফিসগামীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার শত শত মানুষ পায়ে হেঁটে চলাচল করতে দেখা যায়।
এলাকায় পুলিশ মোতায়েন থাকলেও তাদের শান্তভাবেই দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থী নয়ন বলেন, ‘আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়ব না। আমরা কোটার বিপক্ষে।’
আরেক শিক্ষার্থী ফাহিম বলেন, ‘গতকাল কোটাবিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের নগ্ন হামলার নিন্দা জানাচ্ছি। আমরা কোটা নয়, মেধার ভিত্তিতে চাকরি চাই। এসব কোটা আমরা মানি না। এসব প্রত্যাহার করতে হবে।’
বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আরিফ বলেন, রাস্তা অবরোধের কারণে অফিসে যেতে পারছি না। এমনকি বাইক নিয়ে যাওয়াও কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
পথচারী আয়েশা বেগম বলেন, আমি যাব ঢাকা মেডিকেলে। কিন্তু আন্দোলনের কারণে বাস যেতে পারছে না। তাই পড়েছি চরম দুর্ভোগে।
স্কুলের শিক্ষার্থী জান্নাতকে নিয়ে যাত্রাবাড়ীর বাসায় যাচ্ছেন তার মা আমেনা। কিন্তু কিছু না পেয়ে পায়ে হেঁটে যেতে হচ্ছে তাদের। আমেনা জানান, এই বাচ্চা মেয়ে নিয়ে এত দূরে হেঁটে যাওয়া সম্ভব না। কিন্তু কী করব।