হোম > সারা দেশ > নরসিংদী

নরসিংদীতে সেনাবাহিনীর মধ্যস্থতায় কাজে ফিরলেন ২০ হাজার শ্রমিক 

নরসিংদী প্রতিনিধি

সেনাবাহিনীর মধ্যস্থতায় নরসিংদীতে কর্মবিরতিতে থাকা তিন শতাধিক টেক্সটাইল কারখানার ২০ হাজার শ্রমিক কাজে ফিরছেন। আজ রোববার চৌয়ালা শিল্প এলাকায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে টেক্সটাইল শিল্পমালিক ও শ্রমিকদের যৌথ সভার পর কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হয়। পরে তাঁরা কাজে যোগ দেন। 

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ক্যাপ্টেন মো. রকিবুল আলম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নরসিংদীর চৌয়ালা শিল্প এলাকায় টেক্সটাইল শিল্প মালিক সমিতি ও আন্দোলনরত শ্রমিকদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করা হয়। সভায় নরসিংদীতে টহলে থাকা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৮ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ক্যাপ্টেন রকিবুল আলম, নরসিংদী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাজ্জাদ এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের পক্ষ থেকে মো. মাহফুজ অংশগ্রহণ করেন। এ সময় টেক্সটাইল শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ শিল্প মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

মতবিনিময় সভার শুরুতেই শ্রমিকদের পক্ষ থেকে একজন তাঁদের দাবিদাওয়া উত্থাপন করেন। এসব দাবির মধ্যে ছিল পলাতক আসামি হোসেন আলীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, প্রতিটি কারখানায় অটো সার্কিট ব্রেকার স্থাপন, দুর্ঘটনায় আহত হলে চিকিৎসার সুব্যবস্থা, আন্দোলনকারী শ্রমিকদের ওপর অহেতুক নির্যাতন, মামলা বা হয়রানি না করা, প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য একটি ক্লিনিক ও অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা, শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কারখানা বন্ধ রাখা এবং নির্ধারিত সময়ে শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করা। 

পরবর্তীকালে সেনাবাহিনীর মধ্যস্থতায় উত্থাপিত দাবিগুলো মালিক সমিতি ও উপস্থিত শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হয়। শ্রমিকেরা তাঁদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন এবং আজ বিকেল ৫টা থেকে নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগদান করার প্রতিশ্রুতি দেন। 

তথ্যমতে, গত মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) চৌয়ালায় ইয়ামিন টেক্সটাইলে বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা যান এক শ্রমিক। প্রতিবাদে পরদিন বুধবার কাজ বন্ধ রাখার জন্য বিভিন্ন কারখানায় যান শ্রমিকেরা। 

শালিধা এলাকায় হোসেন আলীর টেক্সটাইলে কাজ বন্ধ করতে গেলে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের সঙ্গে ওই কারখানার শ্রমিকদের মারামারির ঘটনা ঘটে। এর পর থেকে রুবেল মিয়াসহ (১৮) দুজন শ্রমিক নিখোঁজ হন। 

শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে শালিধা হোসেন আলীর কারখানার কিছু দূরের একটি ডোবা থেকে শ্রমিক রুবেল মিয়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর দুপুর ১২টার দিকে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা হোসেন আলীর দুটি কারখানা, দুটি গোডাউন ও পাঁচতলা একটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেন। 

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। এ সময় উত্তেজিত শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি শান্ত করে সেনাবাহিনী। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। 

শ্রমিকেরা জানান, হোসেন আলীর কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে মারামারির পর থেকে রুবেল নিখোঁজ ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, ওই কারখানার শ্রমিকেরা তাঁকে মেরে ডোবায় ফেলে রেখেছেন। তাই বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা হোসেন আলীর বাড়ি ও কারাখানায় আগুন লাগিয়ে দেন।

বিমানবন্দর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ঢাকায় প্রবেশের পথ ৪ ঘণ্টা টোলমুক্ত থাকবে আগামীকাল

বিমানবন্দর থেকে গুলশান ও এভারকেয়ার হাসপাতাল এলাকায় ড্রোন ওড়ানো নিষেধ‎

বড়দিন উপলক্ষে আজ সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত আতশবাজি ও ফানুস ওড়ানো নিষেধ

শ্রীপুরে গভীর রাতে ইটভাটায় ডেকে নিয়ে জাসাস নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

যুবদল নেতা আরিফ সিকদার হত্যা: সুব্রত বাইনের মেয়ে ফের রিমান্ডে

ঘন কুয়াশায় মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে চার যানবাহনের সংঘর্ষ, আহত কয়েকজন

ডেইলি স্টারে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার আরও ১

ঢাকা মেডিকেলে ফেলে যাওয়া তরুণীর মরদেহ শনাক্ত, পরিবারের অভিযোগ হত্যা

পাখিও তো গান গায়, পাখির নীড় ভাঙবে কবে—সংস্কৃতিকর্মীর জিজ্ঞাসা

হাদি হত্যা মামলা: ফয়সালদের ৮ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ