হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুর্ঘটনার শিকার বিমানের বোয়িং-৭৮৭ ড্রিমলাইনার ঠিক করা হয়েছে। আবার উড়ার জন্য প্রস্তুত উড়োজাহাজটি। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পরবর্তীতে নির্ধারিত সিডিউল অনুযায়ী বৃহস্পতিবার রাতে রিয়াদের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার জন্য উড়োজাহাজটি যাথারীতি সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত রয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১২টায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি বোয়িং-৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বৃহস্পতিবার সৌদি আরবের রিয়াদ থেকে উড্ডয়ন করে বিকেল চারটার দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এরপর উড়োজাহাজটি ৪ নম্বর বোর্ডিং ব্রিজে আনা হয়। উড়োজাহাজটি থেকে যাত্রী, ব্যাগেজ ও কার্গো অফ-লোডিং সম্পন্ন হওয়ার পর যথারীতি হ্যাংগারে নেওয়ার সময় বোর্ডিং ব্রিজের ক্যানোপি উড়োজাহাজের দোরগোড়ার সংযোগস্থলের সংস্পর্শ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার সময় বোর্ডিং ব্রিজে থাকা ঘর্ষণ প্রতিরোধক রাবারের সঙ্গে ঘর্ষণ লাগে। প্রকৌশলীগণ তাৎক্ষণিকভাবে জানান যে, বোর্ডিং ব্রিজের ঘর্ষণ প্রতিরোধক রাবারটি ঠিক করা হয়েছে, উড়োজাহাজের কোনো ক্ষতি হয়নি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের জন্য প্রধান প্রকৌশলী কায়সার জামান ও উপ-মহাব্যবস্থাপক, জিএসই মেইন্টেনেন্স এর সমন্বয়ে দুই সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে আগামী তিন কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত শেষ করে রিপোর্ট প্রদানের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম বলেন, ‘বোর্ডিং ব্রিজ থেকে উড়োজাহাজ পৃথক করার সময় যেসব নিয়মকানুন মানতে হয়, সেগুলো মানা হয়নি। তাঁরা উড়োজাহাজের দরজা ও বোর্ডিং ব্রিজের সংযোগ না খুলেই পুশব্যাক করেছে। এই ঘটনার বিষয়টি শুনে আমি নিজেই ঘটনাস্থলে যাই।’
এ ঘটনায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ইঞ্জিনিয়ারিং শাখা থেকে ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।