নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে হাট-বাজারের টেন্ডার জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আজ বুধবার সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ চত্বরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের ১৩টি স্থায়ী হাট-বাজারের টেন্ডার (দরপত্র) জমা দেওয়ার দিন ছিল আজ। মোগরাপাড়া ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে ঐতিহ্যবাহী কাইকারটেক হাটটি ইজারা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পরিচালনা করে আসছিলেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নুর সমর্থক রোমান বাদশা। এদিকে বেলা ১১টায় উপজেলা পরিষদে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সোহাগ রনির সমর্থক সজল মিয়া ও তাঁর লোকজন ওই হাটের দরপত্র জমা দেন। এ সময় উপজেলা যুবলীগের সভাপতি নান্নুর সমর্থক ও মোগরাপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সজীব, যুবলীগের কর্মী সাগর, হৃদয়, অনিক, পলাশ, পায়েলসহ যুবলীগের ২০-২৫ জনের একটি দল এসে বাধা দেয়। এতে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ারঘটনা ঘটে এবং তা সংঘর্ষে রূপ নেয়।
আহতদের মধ্যে সোহাগ রনির সমর্থক শেখ মেহেদী হাসান, জাবেদ, সজলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাঠিপেটা করে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের উপজেলা পরিষদ থেকে বের করে দেন। পরে উপজেলা চত্বর ও আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
মোগরাপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সজিব মিয়া বলেন, ‘ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আমাদের কথা-কাটাকাটি হয়েছে। তাঁরা যুবলীগের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে তিনজনকে কুপিয়ে আহত করে।’
সোনারগাঁ থানার ওসি মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান জানান, এ ঘটনায় পুলিশ লাঠিপেটা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।