দেশব্যাপী কঠোর লকডাউন ঘোষণার তৃতীয় দিনে পুরান ঢাকায় ঢিলেঢালাভাবে চলছে লকডাউন কার্যক্রম। বিধিনিষেধের প্রথম দুই দিন পুরান ঢাকার ওয়ারী, বংশাল, রায়সাহেব বাজার ও লক্ষ্মীবাজার এলাকায় মানুষের উপস্থিতি তেমন চোখে না পড়লেও আজ সরব উপস্থিতি দেখা গেছে।
আজ শনিবার সকালে অনেকেই বাহাদুরশাহ পার্ক এলাকায় ব্যায়াম করতে এসেছেন। দুপুরেও দেখা গেছে একই চিত্র। আশপাশের দোকানপাট বন্ধ থাকলেও মালিক ও কর্মচারীদের পার্কে বসে আড্ডা মারতে দেখা গেছে। বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে অলি-গলিতে ঘুরতে বেরিয়েছেন অনেকেই।
এই এলাকায় পুলিশের উপস্থিতি দেখা গেলেও কোনো রকম ধড়-পাকড় নেই। তবে মানুষের উপস্থিতি বাড়লেও আগের মতো ভাড়া পাচ্ছেন না রিকশা চালকেরা। তাঁরা জানান, মানুষ কিছুটা বাইরে আসলেও কোথাও যায় না, ঘুরতেই বাহির হয়। যেখানে অফিস-মার্কেট সব বন্ধ সেখানে মানুষ আর যাবেই বা কোথায়।
টাঙ্গাইল থেকে ঢাকায় আসা রিকশা চালক হানিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'গ্রামের বাড়িতে দুই মেয়ে এবং এক ছেলে নিয়ে আমার সংসার। এখন থাকি সায়েদাবাদে। যেখানে খাওয়া বাবদ প্রতিদিন ১২০ টেহা দিতে হয়। পাশাপাশি রিকশার মহাজনকে দেওয়া লাগে ১২০ টেহা। দুপুর পর্যন্ত কামাই করলাম শুধু ৫০ টেহা। সরকার রিকশা চালানোর সুযোগ দিছে ঠিকই কিন্তু মানুষ না থাকলে ইনকাম হইব কই থেইকা।