ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার অন্য দোকানগুলোতে কেবল বেচাবিক্রি জমে উঠতে শুরু করেছে। তবে মেলার শুরু থেকেই জমজমাট ‘রাজামামা’র চায়ের দোকান। তাঁর দোকানের সামনে ভিড় লেগেই আছে। তবে তাঁর ব্যস্ততা এখন চা বানানোর চেয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে সেলফি তোলাতেই।
রাজামামার চায়ের দোকানে প্রতিদিন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ ভিড় করছে। অনেকে দূরদূরান্ত থেকে মেলায় আসছে শুধু তাঁর চা খেতে। আজ মঙ্গলবার সরেজমিন বাণিজ্য মেলা ঘুরে ‘রাজামামার বিখ্যাত চা’-এর সামনে এমন দৃশ্যই দেখা যায়।
রাজামামার আসল নাম আজহার উদ্দিন। বসয় ৪৩ বছর। বাড়ি ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার নওধার গ্রামে। ছোটবেলা থেকে নানা চড়াই-উতরাই পার হতে হয়েছে তাঁকে। একসময় অভাব ঘোচাতে দুবাই পাড়ি জমান। ২০১৮ সালে দেশে ফিরে চা স্টলের ব্যবসা শুরু করেন। বর্তমানে সারা দেশে তাঁর দোকানের ১৮টি শাখা রয়েছে। ভবিষ্যতে নারায়ণগঞ্জের প্রাণকেন্দ্র চাষাঢ়ায় একটি শাখা দেওয়ার চিন্তাভাবনা রয়েছে তাঁর।
রাজার চায়ের বিশেষত্ব হচ্ছে—কাঠবাদাম, কাজুবাদাম, পেস্তাবাদাম, জাফরান, নানা মসলা, তালমিছরি, গরুর দুধ, গুঁড়া দুধ মিশিয়ে বিশেষ পদ্ধতিতে চা বানান তিনি। চা গরম করা হয় বালুর তাপে। রাজা বলেন, তাঁর চায়ে ব্যবহৃত প্রতিটি উপাদানই দামি। তবে চা বিক্রি করে থাকেন সুলভ মূল্যে। প্রতি কাপ চা ৫০ টাকা।
রাজা আরও বলেন, যখন তিনি দেশে ফিরে চায়ের ব্যবসা শুরু করেন, গ্রামের অনেকে হাসি-ঠাট্টা করেছিল। কিন্তু আজ সবাই তাঁকে নিয়ে গর্ব করে। বর্তমানে তাঁর ১৮টি শাখায় ৭২ জন কর্মচারী রয়েছেন। তাঁদের গড়ে ১২ থেকে ২৮ হাজার টাকা বেতন দিয়ে থাকেন।
আনিসুর রহমান নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘রাজামামার চায়ের নাম অনেক শুনেছি, কিন্তু কখনো খাইনি। তাই আজ তাঁর চায়ের স্বাদ নিতে চলে এসেছি।’