রাজধানীর উত্তরায় পিকআপ ভ্যানের চাপায় আহত র্যাব সদস্য সুজন শেখ মারা গেছেন। কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বুধবার তাঁর মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় পিকআপ ভ্যানের চালক মো. সোহেলকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১। নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার আইন উদ্দিনের ছেলে তিনি। বিমানবন্দরের ফুট ওভারব্রিজের পশ্চিম পাশ থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১-এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. মাহফুজুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উত্তরার জসীমউদ্দীন এলাকায় রোববার (২৮ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে সুজন শেখ মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন। পরে তাঁকে উদ্ধার করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বুধবার মারা যান তিনি।
এ বিষয়ে র্যাব-১-এর এএসপি মাহফুজুর রহমান বলেন, সরকারি কাজ শেষ করে র্যাব সদর দপ্তরের এমআই রুম থেকে র্যাব-১-এ আসছিলেন ল্যান্স কর্পোরাল সুজন শেখ। পথিমধ্যে জসীমউদ্দীন এলাকায় বিমানবন্দরগামী বেপরোয়া পিকআপ ভ্যান (ঢাকা-মেট্রো-ন-২০-১৩২০) তাঁকে চাপা দিয়ে চালক পালিয়ে যায়। এ সময় র্যাব সদস্য সুজন শেখের বুক, মাথা, মুখসহ হাত-পা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে মারাত্মক আঘাত পান।
তিনি বলেন, পরে তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় কুর্মিটোলা হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার মারা যান সুজন শেখ।
এ ঘটনায় তাঁর ভগ্নিপতি মো. ফরহাদ আলী বাদী হয়ে উত্তরা পূর্ব থানায় সড়ক পরিবহন আইনে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় ড্রাইভার সোহেলকে বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাঁকে উত্তরা পূর্ব থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে এএসপি মাহফুজ বলেন, র্যাব সদস্যকে গাড়িচাপা দেওয়ার ঘটনার সঙ্গে তিনি জড়িত। এ ঘটনার পর গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপনে ছিলেন।