টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কয়েক দিন গোমতী নদীর পানি বাড়লেও বর্তমানে তা কমতে শুরু করেছে। এতে স্বস্তি ফিরছে কুমিল্লার গোমতীপাড়ের নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের মানুষের মধ্যে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, আজ শুক্রবার (১১ জুলাই) সকাল ৯টা ৯ মিনিটে গোমতী নদীতে পানির লেভেল ছিল ৮ দশমিক ৯৪ মিটার, যা বিপৎসীমার (১১ দশমিক ৩০ মিটার) ২ দশমিক ৩৬ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। রাত ১২টায় পানির লেভেল ছিল ৯ দশমিক ৩৩ মিটার। অর্থাৎ, সময়ের সঙ্গে পানি কমছে। এর আগে বৃহস্পতিবার গোমতী নদীর পানি বিপৎসীমার প্রায় ছুঁইছুঁই ছিল।
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে বৃষ্টিপাত কমায় উজান থেকে ঢলের প্রবাহও কমেছে।
গোমতীর তীরসংলগ্ন বিনোদনকেন্দ্র গোমতী টাচের চেয়ারম্যান মীর মো. মফিজুল ইসলাম বলেন, ‘গেল কয়েক দিন গোমতীর পানি বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই করছিল। ফলে আমাদের প্রয়োজনীয় মূল্যবান জিনিসপত্র সরিয়ে ফেলি, পাশাপাশি স্থানীয়রাও তাদের বাড়িঘর গুছিয়ে ফেলে। আতঙ্কে নির্ঘুম রাত পার করেছে তারা। এখন পানি কমতে শুরু করায় আমাদের আতঙ্ক কেটেছে, কিছুটা স্বস্তি বোধ করছি।’
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালীউজ্জামান বলেন, ‘বিপৎসীমার অনেক নিচে গোমতীর পানি রয়েছে। বৃষ্টি বন্ধ থাকলে পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে যাবে। তবে আমরা সতর্ক অবস্থানে আছি।’
বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন আগাম প্রস্তুতি রেখেছে। জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার জানান, ৫৮৩টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত, পর্যাপ্ত শুকনো খাবার, জিআর চাল ও নগদ অর্থ মজুত রয়েছে। এখন গোমতীর পানি কমতে শুরু করায় আমাদের উদ্বেগ কমছে।
এদিকে, পানি কমতে শুরু করায় চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের কিছু এলাকা থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। তবে টানা বৃষ্টির কারণে কুমিল্লা নগরীর কিছু নিচু এলাকায় সাময়িক জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।